মোস্তাফিজুর হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার মাথায় ছয়টি সেলাই লেগেছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকালে বাংলাহিলি বাজারে বাসনপট্টিতে ঘটনাটি ঘটে। আহত মোস্তাফিজুর রংপুর কাস্টমস এক্সসাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেটে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
ছোট ভাই মাহফুজ রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মঙ্গলবার বড় ভাই, ভাবি, মা ও আমিসহ বাজারে যাই। বাসনপট্টিতে আপেল ভ্যারাইটি স্টোরে ননস্টিক কড়াই কিনতে ঢুকি। দোকানদার ১৫/২০ মিনিট ধরে দিচ্ছি দেই বলে আমাদেকে বসিয়ে রেখে পরে কড়াই দেখায়। কড়াইয়ের দাম জানতে চাইলে দোকানদার ১ হাজার ৮০ টাকা চায়। ভাইয়া দরদাম করা যাবে কিনা জানতে চাইলে দোকানি বলে করেন। তখন আমার ভাবি সেটার দাম ৮০০ টাকা বলেন। দোকানদার বলেন ওই দামে হবে না। এরপর আমরা দোকান থেকে বের হওয়ার সময় তিনি বলেন, আপনারা বাজার ঘুরে দেখে আসেন। জবাবে ভাইয়া বলেন, আপনি আমাদের এতক্ষণ বসিয়ে রেখে এখন এভাবে কথা বলছেন। এসময় দোকানদার এসে আমার ভাইয়ার জামার কলার ধরতে গেলে আমি তার হাত চেপে ধরি। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দোকানদার আমাকে মারতে শুরু করেন। দোকানের বাকি দু’জন আমার ভাইয়াকে দোকানের বাইরে পেটাতে থাকে। তারা আমার ভাইয়াকে মাথায় আঘাত করলে মাথা ফেটে যায়। ভাবি ও মা তাদেরকে আটকানোর চেষ্টা করলে তাদেরকেও মারধর করে।’
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিক্যাল অফিসার ডা. রুপা সাহা বলেন, ভর্তি এতজনের মাথায় কয়েকটি সেলাই লেগেছে। তাকে পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
আটক আপেল মাহমুদ ঘটনার জন্য ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘আমি একা শুধু যে তাদেরকে মারধর করেছি তা নয়, সঙ্গে আশেপাশের দোকানদারও ছিলেন।’
হাকিমপুর থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, আপেল মাহমুদকে আটক করে নিয়ে আসা হয়েছে। মোস্তাফিজুরের বাবা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেফতার করা হবে।