বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে ফুলছড়ি উপজেলার কাইয়ারহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এসব মাংস বিতরণ করা হয়। বেলা ৩টা পর্যন্ত চলে মাংস বিতরণ কার্যক্রম।
ফুলছড়ির চরাঞ্চলের হাড়ুডাঙ্গা, কাইয়ারহাট, বালাসিঘাট ও উড়িয়া গ্রামের হতদরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্তা বা বিধবা সদস্যদের হাতে এক কেজি করে মাংস তুলে দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন—ফোরাম এসডিএ টিম লিডার দিন ইসলাম, সদস্য সাঈদ জাহাঙ্গীর, আসলাম হোসেন, সৈকত মিয়া, গাইবান্ধা জেলা টিম লিডার মামুন হাইলিদার, সদস্য জাকির হোসেন, মো. তুলেন ও সিদ্দিক মিয়া।
কোরবানির মাংস পেয়ে খুশি হন হতদরিদ্র মানুষরা। তাদের মধ্যে বৃদ্ধা জানে বেওয়া বলেন, ‘মাংস কেনার সামর্থ্য নেই, তাই ঈদের দিন মাংস খেতে পারিনি। এখন যে মাংস পেলাম তাই দিয়ে বাড়িতে থাকা মেয়েকে নিয়ে খেতে পারবো।’
আবেদ আলী নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আগে মাংস কিনে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ঈদের দিন খেতাম। কিন্তু বন্যা আর নদী ভাঙনে সব শেষ হওয়ায় এখন নিঃস্ব হয়েছেন। যেটুকু মাংস পেয়েছি তাতে খুব ভালো লাগছে। আনন্দ করে স্ত্রীকে নিয়ে মাংস খেতে পারবো।’
এ বিষয়ে এসডিএ গাইবান্ধা জেলা টিম লিডার মামুন হাইলিদার বলেন, ‘বন্যা আর নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র মানুষগুলোর সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করতে মাংস বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। তিন শতাধিক পরিবারকে মাংস দেওয়ার জন্য তিনটি গরু জবাই করা হয়। অসহায় মানুষদের মাংস দিয়ে সহায়তা করতে পেরে আমরা আনন্দিত।’