আহতদের মধ্যে রয়েছেন নীলফামারী-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান বিএ, জলঢাকা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন, একই থানার কনস্টবেল মেহেদী হাসান, রুবেল হোসেন, নাছির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম, পথচারী শাহিনুর রহমান, দুলাল হোসেন, সাংবাদিক সেফাউল ইসলামসহ ২২ জন।
আহতদের মধ্যে উপ-পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের স্থানীয় হাসপাতাল ও বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করেন, ‘জলঢাকা জিরো পয়েন্টের বঙ্গবন্ধু চত্বরে জাতির জনকের জীবনী নিয়ে আলোচনা করছিলেন সাবেক উপজেলা সভাপতি আব্দুল মান্নান বিএ। এ সময় বর্তমান উপজেলা সভাপতি আনসার আলীর মিন্টুর নেতৃত্বে জামায়াত শিবির অতর্কিতে হামলা চালায় আমাদের ওপর। তাদের হামলায় পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্ততি চলছে।’
এদিকে, পাল্টা অভিযোগ করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনসার আলী মিন্টু বলেন, ‘আগে থেকে নির্ধারিত দলীয় কর্মসূচির আলোকে শোক র্যালি নিয়ে যখন বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে যাই, ঠিক সেই মুহূর্তে সাবেক এমপি মোস্তফা ও আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। তারা জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে আমাদের ওপর আক্রমণ চালিয়েছে। এ নিয়ে মামলা দায়ের করবো।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন, ‘জলঢাকা আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় আমাদের পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার সেল নিক্ষেপ করি। পরিবেশ এখন শান্ত রয়েছে।’