সাদনাম অভিযোগ করেন, ‘শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টার সময় আমার বাবা নিজের ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো-গ ২৬-৬১০২) প্রাইভেট কারটি নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাফ উদ্দিন সরকারের বাসার সামনে পার্কিং করে পাশেই পরিচিত এক ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলছিলেন। কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখসহ একদল পুলিশ হাজির হন। তারা আমার বাবার দেহ ও ব্যবহৃত গাড়ি তল্লাশি করে কিছু না পেলেও গাড়িসহ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এরপর থানায় আমার বাবার ওপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয় এবং বিভিন্ন মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা ঘুষ দাবি করেন থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ। কিন্তু আমার বাবা কোনও অন্যায় না করায় ঘুষের টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পরেরদিন বাবাকে ৪০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধারের একটি মামলা ও (১৪-৮-১৯) বিজিবির এক বোতল বিদেশি মদ উদ্ধারের মামলাসহ দুটি মাদক মামলায় আসামি দেখিয়ে আদালতে পাঠান ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ।’
সংবাদ সম্মেলনে আহসান বিন রউফ ওরফে জামির নিঃশর্ত মুক্তিসহ ডিমলা থানার ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা।
তবে ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ ঘুষ দাবির বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, দুটি মামলায় নয়, ৪০ বোতল ফেন্সিডিলের মামলা তদন্ত করে জামি’র সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।