মৌলবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে পারলে গণতন্ত্র সুসংহত হবে: নৌ-প্রতিমন্ত্রী

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন খালিদ মাহমুদ চৌধুরীআওয়ামী লীগ কখনও ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘একটি মৌলবাদী গোষ্ঠী ধর্মকে ব্যবহার করে সবকিছু দখল করতে চায়। এই গোষ্ঠীকে যখন নির্মূল করা যাবে, তখনই গণতন্ত্র সুসংগত হবে। এদের নির্মূল করতে পরলে দেশ নিরাপদ হবে। দেশে শান্তি কায়েম হবে ও মানবাধিকার সুসংহত হবে।’

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ মুক্ত মঞ্চে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে শ্রী শ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন কমিটির আয়োজনে বিরল উপজেলা পরিষদ থেকে একটি শোভাযাত্রা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই জায়গায় এসে শেষ হয়।

নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এই সরকারের সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলে—বাংলাভাই, আব্দুর রহমানের মতো জঙ্গির সৃষ্টি হতো; গ্রেনেড হামলা হতো, আহসানুল্লাহ মাস্টারের মতো হত্যাকাণ্ড ঘটতো, মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকতো না। মন্দির-মসজিদ-প্যাগোডায় হামলা হতো। ধর্মান্ধগোষ্ঠী এই কাজগুলো করে। হৃদয়ের মধ্যে শ্রীকৃষ্ণের বাণী ও কর্ম ধারণ করতে হবে, যা মানবসমাজের কাজে লাগবে।’ তিনি বলেন, ‘সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসী- মৌলবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে হবে।’ এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ইতালি ও জাপানি নাগরিককে গুলি করা হয়েছিল, যেন দেশ দুটিতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা ইতালি ও জাপানকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, এসব ঘটনা পরিকল্পিত ছিল। ইতালি ও জাপান বিষয়টি উপলব্ধি করেছে। দেশ দুটির সঙ্গে আগামী ২৭ আগস্ট শ্রমবাজারের জন্য নতুন করে চুক্তি স্বাক্ষর হবে। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন, কোনও লাভ হবে না।’ তিনি বলেন, ‘ব্রাজিল-পেরু-আর্জেন্টিনায় আমাদের নতুন বাণিজ্য বাজার তৈরি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই এটা হচ্ছে। শেখ হাসিনার উন্নয়নের রাজনীতির ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যাবে।’

আওয়ামী লীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক দিক, শিক্ষা, চিকিৎসা, রাস্তাঘাটের যে উন্নয়ন হয়েছে; তাতে প্রমাণিত হয়—২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে কোনও ভুল করেনি। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতার উন্নতি হচ্ছে।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবির, উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, পৌর মেয়র সবুজার সিদ্দিক সাগর, বিরল পূজা উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক রমাকান্ত রায়, সুবল রায় প্রমুখ।