পঞ্চগড়ে বন বিভাগের জমি দখল করে বাদাম চাষ!

01পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নে বন বিভাগের জমি দখল করে বাদাম চাষ করার অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলার মাগুরা প্রধানপাড়া গ্রামের এক মাদ্রসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তার নাম মাহামুদুল আলম। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে তার লোকজন ট্রাক্টর দিয়ে হালচাষ করতে গেলে পুলিশ সেটি জব্দ করে চেয়ার্যাজনের জিম্মায় দেয়। পরে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন ওই রাতেই বোদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার বেংহারী ইউনিয়নের নন্দরাম মণ্ডল মৌজায় বন বিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে। পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ওই জমির মধ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রায় ১৩ একর জমি সামাজিক বনায়ন করতে স্থানীয় ১২ জন উপকারভোগীকে ১০ বছরের জন্য বরাদ্দ দেন। মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম ওই ১৩ একর জমির মধ্যে প্রায় ৬ একর জমিতে বাদাম চাষ করার জন্য শনিবার বিকালে ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ শুরু করেন। এ সময় উপকারভোগীরা বন বিভাগকে জানালে পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাল চাষে বাধা দেন। কিন্তু মাহামুদুল আলমের লোকজন বোদা উপজেলার ঝলঝলি গ্রামের আব্দুল জলিল ও একই উপজেলার মানিক পীর এলাকার সফিউল ইসলাম বাধা না মেনে হাল চাষ করতে থাকেন। একপর্যায়ে উপকারভোগীরা বিষয়টি ফোনে বোদা থানাকে জানায়। পরে বোদা থানা পুলিশ ট্রাক্টরটিকে জব্দ করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের জিম্মায় দেয়।
02পঞ্চগড় সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, ‘এই মৌজায় বন বিভাগের ১০৮ একর জমি রয়েছে। বন বিভাগ স্থানীয়দের নিয়ে সামাজিক বনায়নের উদ্যেগ নিয়েছে। বনায়নের কাজও শুরু হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তরা জমি দখল করে ট্রাক্টর দিয়ে চাষ করেন।’
মাদ্রাসা শিক্ষক মাহামুদুল আলম বলেন, ‘৬ একর জমি স্থানীয় রেকর্ডিয় মালিকদের কাছ থেকে প্রায় ১০ বছর আগে জমি কিনেছি। আমার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বন বিভাগকে দেখাবো।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু হায়দার মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, বন বিভাগের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এখনও মামলা দায়ের করা হয়নি। বন বিভাগকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত।’