হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মামুনুর রশীদ লেবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আগে ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানি করতাম এবং তার বিপরীতে এলসি খুলতাম তখন ডলারের রেট কম ছিল। আগে এক ডলারের বিপরীতে ৬৮.৫০-৬৯ রুপি পেতাম। এখন পাচ্ছি ৭১.৫০-৭২ রুপির মতো। সামনের দিনে এ অবস্থা থাকলে আরও কম দামে দেশের বাজারে পণ্য কেনাবেচা করতে পারবো।’
আরেক আমদানিকারক রাজিব দত্ত বলেন,‘বর্তমানে ডলার রেট ভালো হওয়ায় বাটাও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। যার কারণে পাথর আমদানিতে পড়তা হচ্ছে। ফলে পাথরের দামও কমেছে। বর্তমানে বাংলাদেশি টাকা রুপিতে ভাঙালে বাটা রেট পাওয়া যাচ্ছে ৮৪.৫০-৮৫ রুপির মতো। এ কারণে বর্তমানে যে দামে ভারত থেকে পাথর কেনা হচ্ছে তাতে করে পড়তা হওয়ায় পাথরের দাম কমেছে। তবে সেখানে আবার যদি বাটা কমে যায় তাহলে পাথরের দাম আবারও কিছুটা বাড়তে পারে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। বিশেষ করে পাথরের আমদানির পরিমাণ বেশি। আগে বন্দর দিয়ে ১২০-১৫০ ট্রাক পেঁয়াজ, পাথরসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হতো। বর্তমানে সেই সংখ্যা বেড়ে ১৭০-১৮০ ট্রাকে দাঁড়িয়েছে। কোনোদিন ২০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হচ্ছে। যার মধ্যে শুধু পাথর ৮০-১০০ ট্রাক প্রবেশ করছে। এতে করে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণ যেমন বেড়েছে তেমনি বন্দর কর্তৃপক্ষ বাড়তি আয় করছে।