ইলেক্ট্রনিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছি আমরাও: রেলমন্ত্রী

সৈয়দপুর রেল কারখানায় কর্মশালায় রেলমন্ত্রী (ছবি– প্রতিনিধি)

রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, ‘সরকার রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে সারাদেশের সঙ্গে রেলওয়ের মাধ্যমে যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশ্বের অনেক দেশে রেল যোগাযোগ বিমানের সমমানে উন্নীত করা হয়েছে। আমরাও ইলেক্ট্রনিক ট্রেন চালুর উদ্যোগ নিয়েছি।’

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সৈয়দপুর রেলওয়ে অফিসার্স ক্লাবে সাংবাদিককের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।

নূরুল ইসলাম বলেন, ‘নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবেই। আরসিসি পিলার দিয়ে উঁচু উঁচু ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলো গুড়িয়ে দেওয়া হবে।’

ট্রেনের গতি ১৫০-২০০ কিলোমিটার বাড়নো হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ট্রেনের গতি বাড়লে সৈয়দপুর থেকে ঢাকা যেতে আড়াই থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগবে। সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানার ভেতরে একটি আধুনিক শপ স্থাপন করা হবে। শ্রমিক সংকট দূর করতে আরও নিয়োগ দেওয়া হবে।’

এর আগে বিকালে সৈয়দপুর রেল কারখানার ভেতরে বাংলাদেশ রেলওয়ের রেলপথ, সেতু, সিগন্যালিং ও রোলিং স্টক রক্ষণাবেক্ষণ এবং ট্রেন পরিচালনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তিনি। এসময় রেলপথমন্ত্রী বলেছেন, ‘নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহৎ রেলওয়ে কারখানার দ্রুত আধুনিকায়ন করা হবে। একইসঙ্গে কারখানার মানোন্নয়নে শূন্যপদগুলো পূরণ করা হবে। এ ছাড়া, রেলের প্রয়োজনে রেলের জায়গা থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে।’

নূরুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার রেলের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। যাত্রী সাধারণের কথা বিবেচনায় নিয়ে নতুন নতুন রেলপথ বসানো হচ্ছে।’ আমদানি নির্ভরতা কমানোর জন্য রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আরও আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বানও জানান তিনি।

রেলমন্ত্রী বলেন, ‘যারা রেলের জমি লিজ নিয়ে খাজনা দিচ্ছে না এবং রেল ভূমিতে অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বসবাস করছে, তাদের উচ্ছেদ করা হবে।’ তবে উচ্ছেদের আগে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে মন্ত্রী বৈঠক করবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।

এরও আগে সকালে মন্ত্রী দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মধ্যপাড়া পাথর খনি পরিদর্শন করেন। তিনি পাথর খনি কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে বাংলাদেশ রেলপথে মধ্যপাড়ার পাথর পরিবহন ও ব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।