হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিনটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা মিলিয়ে হাকিমপুর উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে আট হাজার ২০৫ হেক্টর জমিতে। এরইমধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে ৮ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে।
হিলির বোয়ালদাড় গ্রামের কৃষক কাওসার আহম্মেদ ও হাসান আলী নামে দুই কৃষক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা কৃষকরা বোরো মৌসুমে ধানের দাম না পাওয়ায় ধান লোকশানের মধ্যে পড়ে গিয়েছি। বোরোর সেই ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে চলতি মৌসুমে আমন ধান চাষাবাদের দিকে ঝুঁকেছিলেন কৃষকরা। প্রতিবছর সাধারণত বৃষ্টির পানিতেই আমন ধান রোপন করা হয়। কিন্তু এবছর চারা রোপনের পর থেকেই চাহিদা মোতাবেক বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবং তীব্র খরার কারণে আমনের ধান ক্ষেতে ফাটল দেখা দিয়েছে। ধানের পাতাগুলো শুকিয়ে হলদে রঙ হয়ে যাচ্ছে। ধানের গাছগুলো বসে যাওয়াসহ ক্ষেতে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছে।
তারা জানান, ক্ষেতে পানি না থাকায় প্রচুর আগাছা জন্মেছে এবং পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে কৃষকরা জমিতে সার প্রয়োগ করতেও পারছেন না। আবার প্রচুর আগাছা হওয়ায় সেগুলো পরিষ্কার করতে বাড়তি শ্রমিকের প্রয়োজন হচ্ছে। এতে করে বাড়তি খরচ হচ্ছে। পানির চাহিদা মেটাতে অনেক কৃষক এরমধ্যেই শ্যালো মেশিন বসিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন। এভাবে বৃষ্টিপাত যদি না হয় তাহলে কৃষকরা শেষ হয়ে যাবে। আমরা কৃষকরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবো— প্রশ্ন করেন এই দুই কৃষক।
এদিকে গত দুদিনে হিলিতে বৃষ্টিপাত হওয়ায় জমিতে যে রসের অভাব দেখা দিয়েছিল তা কিছুটা মিটছে বলে জানান এই কৃষি কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আরও বৃষ্টিপাতের প্রয়োজন রয়েছে।’