সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর জেলায় বন্যার কারণে আশানুরুপ পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারেননি কৃষকেরা।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, এ বছর নীলফামারী জেলায় কাটা (কন্দ) পেঁয়াজের আগাম চাষ হয়েছে ২১৭ হেক্টর জমিতে। আর এই জমি থেকে আগাম (কন্দ) পাতা পেঁয়াজ বিক্রি করতে পারবে প্রায় ১৩ হাজার মেট্রিকটন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার পেঁয়াজের বাম্পার ফলন পাবে কৃষক। আশাকরি, পেঁয়াজ চাষে কৃষক লাভবান হবে।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলার ছয়টি উপজেলার মধ্যে সদরে ৫০০, ডোমারে ২৫১, ডিমলায় ২৮২, জলঢাকায় ২১১, কিশোরগঞ্জে ১৫০ ও সৈয়দপুরে ৬ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। পেঁয়াজ সবচেয়ে বেশি আবাদ হয় নীলফামারী সদরে।
জেলা সদরের গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ধোবাডাঙ্গ গ্রামের পেঁয়াজ চাষি সাইদুল ইসলাম জানান, যদি আবহাওয়া ভালো থাকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয়, তাতে আমাদের পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হবে। আর সপ্তাহ খানেক পর পরিপক্ক পেঁয়াজ বাজারে তোলা যাবে। গ্রামের অনেকেই কাঁচা পয়সার আশায় পাতা পেঁয়াজ বাজারে বিক্রি করছেন।
সরেজমিনে, বিভিন্ন এলাকার পেঁয়াজের মাঠ ঘুরে ও কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাটা (কন্দ) পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। আবহাওয়া ভালো থাকলে বিঘাপ্রতি ৪০-৪৫ মণ পেঁয়াজ ঘরে তোলা যাবে। বর্তমানে পাতা পেঁয়াজ বা কন্দ পেঁয়াজ প্রতি মণ এক হাজার ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সকালে জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো পেঁয়াজ প্রকারভেদে পাইকারি বাজারে ১৬৫-১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৮০-১৯০ টাকা কেজি দরে। জেলা সদরে এখন পর্যন্ত কোনও ধরনের টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রি হতে দেখা যায়নি।
জেলা মার্কেটিং কর্মকর্তা মো. এরশাদ আলম খাঁন এক প্রশ্নের জবাবে টিসিবির পেঁয়াজ বিক্রির বিষয়টি এড়িয়ে বলেন, ‘অন্যান্য জেলায় ওই পেঁয়াজ বিক্রি হলেও নীলফামারীতে এখন পর্যন্ত বিক্রি শুরু হয়নি।’