পঞ্চগড়ে কাঁচা চা পাতার মূল্য নির্ধারণ

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সভাপঞ্চগড়ে উৎপাদিত কাঁচা চা পাতা পরিবহন খরচ বাদে প্রতি কেজির মূল্য ১৬.৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘কাঁচা চা পাতা সরবরাহ ও চলমান পরিস্থিতি’ নিয়ে বুধবার (৪ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় চা কারখানা মালিক, চা চাষি ও চা বোর্ডের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে কাঁচা চা পাতা প্রতি কেজি ১৬.৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এবার ৩০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও নর্দান বাংলাদেশ প্রকল্পের পরিচালক ড. মোহাম্মদ শামীম আল-মামুন জানান, সভায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চা কারখানা বন্ধ ও ১ মার্চ কারখানা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে কারখানা বন্ধ বা চালু রাখা যাবে না। এছাড়া নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে কমে চা পাতা কেনা যাবে না বলে সব পক্ষ একমত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, চা চাষিদের পক্ষে বাংলাদেশ স্মল টি গার্ডেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি এবিএম আকতারুজ্জামান শাহজাহান, কারখানা মালিকদের পক্ষে মোশাররফ হোসেন, শাহ আলম ভূইয়া চা বোর্ডের প্রতিনিধি ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. শামীম আল মামুন বক্তব্য দেন। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আব্দুল মান্নান।

ড. মোহাম্মদ শামীম আল-মামুন জানান, পঞ্চগড় জেলায় ২০১৭ সালে ৫৪ লাখ ৪৬ হাজার কেজি ও ২০১৮ সালে ৮১ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। এই মৌসুমে এক কোটি কেজি চা উৎপাদন হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আমরা নিবন্ধিত চাষিদের স্বল্পমূল্যে চায়ের চারা দিচ্ছি, চা বাগান পরিদর্শন করে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিয়ে থাকি। চা চাষ অধিক লাভবান বিক্রিতে ঝামেলা নেই, তাই পঞ্চগড়ের মানুষ ঝুঁকে পড়েছে চা চাষে। আমাদের এটুআই কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ চা বোর্ড কর্তৃক ‘দুটি পাতা একটি কুড়ি’ নামে মোবাইল অ্যাপস রয়েছে, সেখান থেকে চা সম্পর্কে যেকোনও তথ্যের পরামর্শ পাওয়া যাবে।