রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউড ডোরে বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো নানান অনিয়ম আর হয়রানির অভিযোগ। বর্তমানে শৈত্যপ্রবাহের কারণে রংপুর অঞ্চলে কোল্ড ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্ট সর্দি জ্বর ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। শিশুরা এসব রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সবচেয়ে বেশি।
রংপুর নগরীর সিও বাজার থেকে আসা নাজমা বেগম জানান, তার দুই মাস বয়সী শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তিন দিন ধরে তার কোনও উন্নতি হচ্ছে না। এখানে এসেছেন দুই ঘণ্টা ধরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন এখনও ডাক্তারের দেখা মেলেনি।
একই কথা জানালেন তিস্তা নদীর দুর্গম চরাঞ্চল থেকে ৭ মাস বয়সী মেয়েকে নিয়ে আসা কমলা রানী। তিনি জানান, তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর ডাক্তারের দেখা মিলেছে। তিনি দুই মিনিট সময় নিয়ে সমস্যা শোনার আগেই ব্যবস্থাপত্র ধরিয়ে দিয়ে বললেন ওষুধ খাওয়ান ভালো হয়ে যাবে।
রংপুরের গঙ্গাচড়া থেকে আসা মমতাজ বেগম জানান, তার চার মাস বয়সের মেয়ে চার দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছে। অনেক আশা নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু ডাক্তার ভালো মতো সমস্যার কথা না শুনেই ওষুধ লিখে দিলো। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে নিতে বললো।
কুড়িগ্রাম থেকে আসা রানী বেগম বলেন, ‘তিন মাস বয়সী ছেলের জ্বর কমছে না। পাঁচ দিন ধরে এখানে আসার পর যা দেখছেন, বোধহয় ডাক্তার দেখাতে দুপুর হয়ে যাবে। একজন ডাক্তারের পক্ষে এত শিশুর চিকিৎসাসেবা দেওয়া কি সম্ভব?’
এ ব্যাপারে দায়িত্ব পালনরত চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে তার চেম্বারে গেলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে, তিনি কোনও কথা বলবেন না।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, অল্প কিছু দিন হলো এখানে এসেছেন। অনেক সমস্যা আছে। সবার সঙ্গে আলোচনা করে সমাধান করবেন।