ফের বাড়ছে শীত, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত কুড়িগ্রামের জনজীবন

01গত কয়েকদিনে রৌদ্রজ্জ্বলের পর আবারও মৃদু শৈত্যপ্রবাহের কবলে কুড়িগ্রামের জনপদ। রাতের সঙ্গে সঙ্গে দিনেও বাড়ছে শীতের প্রকোপ। শীত আর কুয়াশার তীব্রতায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ১০টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। কুয়াশায় আবৃত হয়ে আছে জনপদ।

কুড়িগ্রাম রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্র জানায়, মঙ্গলবার কুড়িগ্রামে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় বিপাকে পড়েছে কর্মজীবী মানুষসহ স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা। শীতের প্রকোপে চরাঞ্চলে বাড়ছে ভোগান্তি। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক ডিগ্রি কমে যাওয়ায় রাত ও সকাল বেলা শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হচ্ছে। শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করা হলেও শীতের পোশাকের অভাবে কষ্ট ভোগ করছেন শীতার্তরা।

সদর উপজেলার যাত্রপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের বেশিরভাগ গ্রামই নদীবেষ্টিত। এসব গ্রামের মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে কষ্টে দিনযাপন করছে। শীতার্ত এসব মানুষের জন্য কম্বলের পাশাপাশি সোয়েটার ও চাদরসহ শীতবস্ত্র প্রয়োজন।’
02সরকারি পর্যায়ে কম্বল বরাদ্দ পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় নগণ্য বলে জানান এই চেয়ারম্যান।

সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে জেলার সব উপজেলায় শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ চলমান থাকলেও জেলা প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে নতুন করে কম্বলের পাশাপাশি শীতবস্ত্র হিসেবে সোয়েটারসহ শীতের পোশাক ক্রয়ের বরাদ্দ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখা।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ শাখার তথ্য অনুযায়ী, সরকারিভাবে জেলায় এ পর্যন্ত ৬৪ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুদের শীতের পোশাকের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে যা দিয়ে প্রায় দেড় হাজার শীতের পোশাক ক্রয় করে বিতরণ চলমান রয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, এসব বরাদ্দ ছাড়াও শিশু খাদ্যের জন্য এক লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।