জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলায় সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। আর আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৫৮০ হেক্টর। এর মধ্যে বারী ০৭, ০৯, ১৪ ও ১৫ জাতের সরিষার চাষ হয়েছে ২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে। এসব উন্নত জাতের সরিষা ক্ষেতের চিত্র দেখে চাষিরা বিঘা প্রতি ৮-১০ মণ ফলনের আশা করছে। এছাড়াও দেশি জাতের সরিষারও প্রচুর আবাদ হয়েছে।
জেলা সদরের কচুকাটা ইউনিয়নের দুহুলী গ্রামের কৃষক কাওসার আলী বলেন, ধান আবাদ করে উৎপাদন খরচই উঠে না। অথচ সরিষা চাষে খরচ কম লাভ বেশি। এক থেকে দুই বার সেচ দিলেই চলে। বর্তমানে প্রতি মণ সরিষা (পুরাতন) ১ হাজার ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, জেলার ৬ উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে সরিষা চাষ করে চাষিরা এবার লাভের আশা করছেন। সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভবনায় চাষিরা উৎসাহী হয়ে পড়েছে।
একই এলাকার কৃষক ধীরেন্দ্র নাথ রায় বলেন, ধান আবাদে অব্যাহত লোকসানের ফলে সরিষা চাষে আগ্রহী হওয়ার আরেকটি কারণ।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপপরিচালক (শষ্য) মো. সিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নীলফামারীতে অন্য বছরের চেয়ে এবার জেলায় সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা কৃষকদের মাঠে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছে। এজন্য অধিকাংশ কৃষক এখন সরিষা আবাদের দিকে ঝুঁকছেন। তাছাড়া অল্প পরিশ্রমে বেশি ফসল ঘরে তোলা যায়।