হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দরে ১৫ জন পেঁয়াজ আমদানিকারক রয়েছেন। গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে ভারত। এর আগে আমদানিকারকরা দৈনিক গড়ে ৫০০ থেকে হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আনতেন। বর্তমানে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় তারা বসে আছেন।
পেঁয়াজ আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম ও বাবলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বাড়ি, জায়গা-জমি ব্যাংকে বন্দক রেখে পেঁয়াজের জন্য এলসি খুলেছিলাম। ভারত হঠাৎ করে রফতানি বন্ধ করে দেওয়ায় আমাদের এত ক্ষতি হয়েছে যে পথে বসার উপক্রম হয়ে গেছে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, গত বছর ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য তিনগুণের মতো বাড়িয়ে ৮৫২ ডলার নির্ধারণ করে ভারত সরকার। দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি দামেই ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছিল। কিন্তু পেঁয়াজের সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়। এসময় আমদানির জন্য ১০ হাজার টনের মতো এলসি দেওয়া ছিল। যার মধ্যে প্রায় দেড় হাজার টনের মতো পেঁয়াজ আটকা পড়েছিল। কয়েক দফা বৈঠক শেষে দু’দফায় মাত্র ১ হাজার ৫০ টন পেঁয়াজ আনা সম্ভব হয়। এসব পেঁয়াজ নিয়েও অনেক আমদানিকারক বেশ লোকসানের পড়েছিলেন। এরপর থেকেই আমদানিকারকরা মূলত অলস সময় পার করছেন। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা না থাকায় যারা লোন নিয়ে ব্যাবসা করছিলেন তাদের সুদ যেমন বাড়ছে তেমনি মোকামগুলোতে পাওনা আটকা পড়েছে। এতে করে অনেকে আর্থিক সমস্যায় পড়েছে।