পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, খালেদা বেগমের সঙ্গে ওই গ্রামের সুলতান মিয়ার ১৫ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাদের প্রথম কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এর ছয় বছর পর জন্ম নেয় দ্বিতীয় কন্যা সন্তান। দীর্ঘদিন পর ৫২ দিন আগে খালেদা বেগম আবারও কন্যা সন্তান প্রসব করেন। ছেলে সন্তানের জন্ম দতে না পারায় স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ স্বজনরা তাকে তিরস্কার করে আসছিলেন। এ নিয়ে কয়েক দফা ঝগড়াও হয়েছে। এসব ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে শনিবার খালেদা বেগম তার তৃতীয় কন্যা সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ বাড়ির পাশের পুকুরে ফেলে রাখেন। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ওসি জাফর আলী বিশ্বাস জানান, নিহত শিশুর বাবা সুলতান মিয়া তার স্ত্রী খালেদা বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ খালেদা বেগমকে গ্রেফতার করেছে।