হিলির ছাতনী চৌমুহনী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী সুমন টপ্প ও বাসন্তি খালকো বলে, আগে আমাদের ভাষায় সবাই কথা বলতো। এখন ধীরে ধীরে এর প্রচলন কমে আসছে। নিজের ভাষা ধরে রাখতে আমরা নিজ ভাষায় পড়ালেখা করতে চাই। আমাদের নিজ ভাষায় কথা বলতে চাই। এই স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিতে ৪০ জনের মতো আদিবাসী শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করছি। বাড়িতে নিজেদের ভাষায় কথা বললেও স্কুলে বাংলা ভাষায় কথা বলতে হয়। আমাদের নিজেদের ভাষার কোনও বই বা শিক্ষক না থাকায় ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। অনেকে ঠিকমতো ভাষা বুঝতে পারে না। তাই স্কুলেও আসতে চায় না। আমাদের নিজ ভাষায় বই ও পড়ানোর শিক্ষক থাকলে খুব ভালো হতো। আমরা ভালো মতো বুঝে শুনে পড়তে পারতাম। আমাদের সম্প্রদায়ের ছেলে মেয়েরা আরও শিক্ষিত হতো।
হাকিমপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘হাকিমপুর উপজেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেক ছাত্র-ছাত্রী পড়ালেখা করলেও তাদের ভাষার কোনও বই নেই। এ বিষয়ে স্কুল- কলেজে শিক্ষকও নেই। এ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোরও কোনও চাহিদা নেই। তাদের কাছ থেকে চাহিদা পেলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে তাদের জন্য নিজ মাতৃভাষায় পাঠ্য পুস্তক প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ’