‘মন্ত্রী-এমপি, ডিসি-এসপি সব আমার নিয়ন্ত্রণে চলে’

01

গাইবান্ধার স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংগঠন ‘আশার আলো প্রভাতি সংস্থা’র চেয়ারম্যান ডা. মো. শফিকুল ইসলাম সাজু দাবি করেছেন, দেশের মন্ত্রী, এমপি এবং গাইবান্ধার ডিসি, এসপি সবই তার নিয়ন্ত্রণে চলে। কোনও এমপি, মন্ত্রী তার সঙ্গে টিকে থাকতে পারবে না বলে চ্যালেঞ্জ জানান তিনি।

গত শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সাঘাটা উপজেলার ডাকবাংলো সংলগ্ন সংস্থার কর্মী সম্মেলন ও হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শফিকুল ইসলাম সাজু বলেন, ‘মন্ত্রী-এমপি যত কিছুই থাকুক না কেন, আমার চেয়ে বড় মাইকেল এই গাইবান্ধা ডিস্ট্রিকে আর নেই। আমি চ্যালেঞ্জ দেবো, চেয়ারম্যান, মেম্বার নয়, এমপি-মন্ত্রীও যদি আমার সঙ্গে টিকে থাকতে পারে তাহলে আমি এই সংস্থা থেকে বহিষ্কার হয়ে যাবো, এই গাইবান্ধাতেই আর থাকবো না। ডিসি, এসপি যেটাই বলেন সব আমাদের নিয়ন্ত্রণে চলে।’

শফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমি মনে করি আমার মতো ৬৪টি ছেলে ৬৪টি জেলায় যদি জন্ম নেয় তাহলে মন্ত্রী, সরকার, এমপিকেও লাগবে না। এই ৬৪ জন দিয়েই দেশ চালানো যাবে। আমাকে ধরতে গেলে ডেপুটি স্পিকারের অনুমতি নিয়ে ধরতে হবে। আর ডেপুটি স্পিকার ফুলছড়ি থানার এমপি। মাথার মধ্যে কথা মনে রাখবেন, গোটা গাইবান্ধা ডিস্ট্রিক পরিচালনা করার মতো ক্ষমতা সরকার আমাকে দিয়েছে।’

উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রভাতি সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য আসলাম প্রধান, আবদুল মতিন, সংস্থার বাদিয়াখালি শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্দিকুর রহমান, সুন্দরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার আবদুর রাজ্জাক, জুমারবাড়ি শাখার ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম ও এরিয়া ম্যানেজার মাহতাব।
জানা গেছে, শফিকুল ইসলামের বাড়ি সাঘাটা উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঘুড়িদহ গ্রামে। তিনি গাইবান্ধা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান সরকারের ছোট ভাই। ২০১৭ সালে সেচ্ছাসেবী সংগঠন রেজি নং- ১৪৪৩/২০১৭ লাইসেন্স নিয়ে গাইবান্ধার সাত উপজেলায় প্রভাতি সংস্থা পরিচালনা করে আসছেন তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবদুল মতিনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। শফিকুল যেসব কথা বলেছেন তা যদি সত্য হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’