ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, এরশাদুল মাদক সেবনের পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে মাদকের কারবার করে আসছিল। তার বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ছিল। রামখানা ইউনিয়নের নাখারগঞ্জ বাজার থেকে শফিকুল ইসলামসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
নাগেশ্বরী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফজলুল করিম সাজু বলেন, ‘এরশাদুল রামখানা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। এর আগেও জেলা পুলিশ সুপার তাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু সে এরপরও ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে কেন্দ্রে প্রতিবেদন পাঠাবো।’
নাগেশ্বরী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান বলেন, ‘এরশাদুল হকের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তাকে থানা পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছিল। সম্প্রতি সে বিয়ে করেছে। বিয়ে করার পর ছাত্রলীগের পদ এমনিতেও থাকে না। জেলা কমিটি না থাকায় তাৎক্ষণিক কোনও ব্যবস্থা নিতে পারছি না।’
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান বলেন, ‘এর আগেও তাকে সতর্ক করা হয়েছিল। এবারও তাকে ইয়াবাসহ গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ।’
ডিবি পুলিশ কুড়িগ্রামের ওসি মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলমান।’