স্থানীয়রা জানান, শেখ নাসের উদ্দিন এক সপ্তাহ ধরে শ্বাসকষ্ট, জ্বর, বুকে ব্যথা ও পাতলা পায়খানা নিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। শনিবার (৪ এপ্রিল) ভোরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে প্রথমে খুলনা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (খুমেক) পাঠানো হয়। রবিবার খুমেকে তার মৃত্যু হয়।
রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শুকান্ত কুমার পাল জানান, স্বাস্থ্য বিভাগ বা প্রশাসনের কাউকে না জানিয়ে লাশটি তার জন্মস্থান উপজেলার বর্ণি-সায়েরাবাদ গ্রামে নিয়ে গোসল ও জানাজা শেষে দাফনের আয়োজন চলতে থাকে। স্বাস্থ্য বিভাগ বা উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি জানতে পেরে দ্রুত সেখানে পৌঁছায়।
তিনি আরও জানান, করোনার লক্ষণ সবগুলো তার মধ্যে ছিল না। তিনি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত ছিলেন। শ্রীফলতলা গ্রামে তার নিজের ও শশুরবাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। লাশ দাফন হয়ে যাওয়ার কারণে মৃতের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তুষার কুমার পাল জানান, শেখ নাসের উদ্দিন অনেক আগে থেকেই হাঁপানির রোগী। এছাড়া তিনি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তার দাফন করা হয়েছে। তার নিজের ও শশুর বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের নজরদারিতে তারা হোম কোয়রেন্টিন পালন করবে।