করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত স্ত্রীর লাশ নিলেন না স্বামী

পিপিই পরে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত দুই ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়ঠাকুরগাঁওয়ে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় এক নারী এবং এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাদের দু’জনকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করেছে প্রশাসন। স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন রানী (৩০) নামে মৃত ওই নারীর লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানালে প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনায় তার বাবার বাড়িতে লাশ দাফন করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা. মাহফুজার রহমান সরকার জানান, সদর উপজেলার রানী করোনা উপসর্গ নিয়ে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার (২৯ মে) ভোরে সেখানে মারা যান তিনি। পরে স্বামীর বাড়ির লোকজন তার লাশ নিতে অস্বীকৃতি জানায়। তার স্বামী আকবার আলী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর কচুবাড়ী এলাকার বাসিন্দা।

তিনি আরও বলেন, ‘ওই নারীর শ্বশুর বাড়ির লোকজন তথ্য গোপন করায় দেরিতে তার করোনার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফলে আমরা এখনও তার রিপোর্ট হাতে পাইনি।’

সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ওই নারীর লাশ সদর উপজেলার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইমাম এবং সদর স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের তত্ত্বাবধানে তার বাবার বাড়ি একই উপজেলার কশালবাড়িতে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাফন করা হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বার উপস্থিত ছিলেন।

অপরদিকে, করোনা উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জ্বর ও গলাব্যথায় আক্রান্ত ওই যুবককে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. রাকিবুল আলম এসব তথ্য জানান।

ওই যুবকের নাম আব্দুল জলিল (২৩)। তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের নেংটিহারা গ্রামের মইজ উদ্দিনের ছেলে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার নতুন করে ১৭ জনসহ জেলায় মোট ৮৪ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৪ জন সুস্থ হয়েছেন।