ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে দিনাজপুরের হিলিতে বেশ কিছু জমির ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। এছাড়া টানা বৃষ্টিতে পানি জমে হেলেপড়া ধানগুলোয় গাছ গজিয়েছে। শ্রমিক না পাওয়ায় কাটতে না পারায় ক্ষেতেই অনেক ধান পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে ক্ষতির শঙ্কায় আছেন তারা।
হিলির হরিহরপুর ও সাদুরিয়া গ্রামের কৃষক মুশফিকুর রহমান, সোহরাব হোসেন, বাদল মাড্ডিসহ কয়েকজন কৃষক বলেন, ধান নিয়ে খুব একটা বিপাকের মধ্যে পড়ে গেছি। ধান পেকে যাওয়ায় ঠিক যে সময় ধান কাটা মাড়াই করা হবে সেই সময়ে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আমাদের অনেক জমির ধান মাটিতে হেলে ও শুয়ে পড়েছে। এর ওপর গত কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় ওইসব জমিতে হেলে ও শুয়ে পড়া ধানগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ফলে অনেক ধানে গাছ বেরিয়েছে, আবার অনেক ধানে পচন ধরে নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে ধান কাটাও যাচ্ছে না। এমন অবস্থা কয়েকশ’ বিঘা জমির ধান এমন অবস্থা হয়েছে। এতে করে জমির অর্ধেক ধানই নষ্ট হয়ে গেছে। যার কারণে আগে যেখানে বিঘা প্রতি ২০ মণ করে ধান হতো এখন সেখানে কোনোরকমে ১০ থেকে ১২ মণ করে ধান পাওয়া যাচ্ছে।
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার শামীমা নাজনীন বলেন, চলতি মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হয়েছে। এখনকার মতো আবহাওয়া থাকলে কৃষকের ধান কাটা মাড়াই নিয়ে যে সমস্যা হচ্ছিল তা হবে না। আশা করি বাকি ২৩০ হেক্টর জমির ধান কৃষকরা ভালোভাবে কেটে ঘরে তুলতে পারবেন। পানিতে উপজেলায় তেমন ধান ডুবে যায়নি, তবে সড়কের পার্শ্বের নয়নজুলি (ডোবা) এলাকার কিছু জমির ধান ডুবে গেছে। যেহেতু বৃষ্টি কমে গেছে সেক্ষেত্রে পানি নেমে গেলে ওইসব জমির ধান কাটতে সমস্যা হবে না। সেইসঙ্গে অল্প সংখ্যক জমির ধান ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সার্বিকভাবে ফলনে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।