ম্যাজিস্ট্রেট লাঞ্ছিত, পুলিশকে ছুরি নিয়ে তাড়া

গ্রেফতারকরোনা পরিস্থিতিতে বিকাল ৪টার পরেও পুরির দোকান খোলা রাখায় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দোকান বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু পুনরায় দোকান খোলা দেখে ম্যাজিস্ট্রেট জরিমানা করতে যান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করে দোকানি। তাকে শান্ত করতে গেলে পুলিশ কনস্টেবলকে ছুরি নিয়ে তাড়া করেন। পরে এই ঘটনায় পুলিশের এক সাব ইন্সপেক্টর ও তিন কনস্টেবল আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।

নীলফামারীর ডিমলায় খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের টুনিরহাট বাজারে এই ঘটনা ঘটে। শনিবার (৬ জুন) দুপুরে এই ঘটনায় গ্রেফতার হোটেল মালিক মিলন আহম্মেদ (৩৮) ও আলম হোসেনকে (৪৫) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই ঘটনায় এসআই বাকিনুর ইসলাম বাদী হয়ে শুক্রবার (৫ জুন) রাতে মামলা করেন।

ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিস্ট্রেট জয়শ্রী রানী রায় বলেন, ‘ওই হোটেল মালিককে বিকালে হোটেল বন্ধ করতে বললেও তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারি নির্দেশ অমান্য করে হোটেল খুলে রাখেন। সেখানে গিয়ে পুনরায় দোকান এখনও খোলা কেন, জানতে চাইলে তিনি পুলিশসহ আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন। আমাকে লাঞ্ছিত করে পুরি কাটার ছুরি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া করেন। এই সময় ওই পুলিশ সদস্যকে বাঁচাতে গিয়ে দোকানের বারান্দার একটি বাঁশের খুঁটিতে ধাক্কা খেয়ে এসআই বাকিনুরের কান ফেটে রক্তক্ষরণ হয়। এতে আরও তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ঘটনার পরের দিন রাতে পুলিশ বাজারে অভিযান চালিয়ে মিলনসহ দুই জনকে গ্রেফতার করে।’
ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, ‘দোকান খোলা রাখার ব্যাখ্যা চাওয়া হয় ওই দোকানির কাছে। অন্যথায় ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়। এতে মিলন সরকারি কাজে বাধা দিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটকে লাঞ্ছিত করে এবং পুলিশের ওপর হামলা চালায়।’