বিরামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মিথুন সরকার বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ইউএনও এবং তার পিতার ওপর হামলার ঘটনায় আটক রবিউল ইসলামের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রবিবার রাতে ইউএনও’র বাসভবনের দোতলা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার ঘরের স্টিলের আলমারির চাবি উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানিয়েছে, চাবি পেলেও সে আলমারি খুলতে পারেনি, যে কারণে কোনও কিছু নিতে পারেনি।
প্রসঙ্গত, গত ২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও'র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। ভেতরে ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে গুরুতর আহত করে তারা। এ সময় মেয়েকে বাঁচাতে এলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
ওয়াহিদাকে প্রথমে রংপুরে ও পরে রংপুর থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমান তিনি ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।