হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা লুৎফর রহমান ও সিদ্দিক হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার কারণে গত কয়েকদিন ধরেই পেঁয়াজের বাজার বেশ চড়া। মাঝেমাঝে পেঁয়াজ আমদানির খবরে কিছুটা কমলেও আমদানি না হওয়ার কারণে আবারও বেড়ে যায়। তবে গতকাল বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার কারণে বন্দরের আড়তগুলোতে পেঁয়াজের দাম গতকালের চেয়ে কেজিপ্রতি ১০ টাকা কমেছে। গতকাল প্রকারভেদে আড়তগুলোতে পেঁয়াজ ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও আজ তা কমে ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আরও কিছু খারাপ পেঁয়াজ রয়েছে, যেগুলো ১০ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত সরকার গত সোমবার হঠাৎ করে কোনও কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছিল। এর পরে শুক্রবার একটি নোটিফিকেশন জারি করে যে, গত রবিবার টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো তারা রফতানি করবে। সেই মোতাবেক অনুমতি দেওয়ায় গতকাল শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মাত্র ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করেছে। যে ১১ ট্রাক পেঁয়াজ রফতানি করেছে, তার অধিকাংশ পেঁয়াজই ইতোমধ্যে পচে নষ্ট হয়ে পানি ঝরছে। এ কারণে আমদানিকারকরা এসব পেঁয়াজ নিয়ে এসেও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখনও দুইশ’র বেশি পেঁয়াজবাহী ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এছাড়া যে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের এলসি দেওয়া রয়েছে, তার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানা যায়নি। এগুলোর বিষয়ে তারা কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বা কী করবে তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছি। আজকে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ প্রবেশ করবে কিনা সেই বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কারণ শুধু গত রবিবারের টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজ রফতানির জন্য অনুমতি পেয়েছে। কিন্তু নতুন করে কোনও নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ভারতীয় কাস্টম বন্দর দিয়ে কোনও পেঁয়াজ রফতানি করতে দেবে না।’