জেলা শহরের কিচেন মার্কেটে প্রকার ভেদে ১০৫ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। একদিনের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৫ টাকা। ১২০ টাকার পেঁয়াজ ১৪৫ টাকা, চিনি ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, খেশারীর ডাল কেজিতে ৮ টাকা বেড়ে ৬৫ টাকা, ছোলা বুট ৬০ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দেখা যায়।
এদিকে, ব্রয়লার ও লেয়ার মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২০০ টাকায়, ব্রয়লার ১৭০ টাকায়, সোনালী ২২০ টাকা থেকে বেড়ে ২৪০ টাকা, দেশী মুরগী ৩৬০ টাকা, গরুর মাংস প্রকার ভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ এবং খাসির মাংস ৫০ টাকা বেড়ে ৬৫০ টাকায়।
ওই মার্কেটে হোটেল ব্যবসায়ী কাওসার আলী বলেন, গত মাসের চেয়ে মাছের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে, রুই প্রতি কেজি ২৮০ টাকা, কাতল ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, শিং ৪৫০ টাকা, সরপুটি ১৮০ টাকা, পাঙ্গাশ ১১০ টাকা, ইলিশ প্রতি কেজি প্রকার ভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা। এ ছাড়াও দেশী মাগুর ৬৫০ টাকা, হাইব্রিড মাগুর ৩২০ টাকা, পাবদা ৩৬০ টাকা, গলদা চিংড়ি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়।
একই মার্কেটের কাঁচামালের খুচরা ব্যবসায়ী নুর ইসলাম (৫৬), ইলিয়াজ আলী (৩২) ও আবু তাহের (৫৮) জানান, আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ চাহিদার তুলনায় আমদানি কম। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও বন্যার পানিতে মরিচের খেতে পচন ধরায়ও স্থানীয়ভাবে উৎপাদন কম। তাই কেজিতে দাম বেড়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। অপরদিকে, আদা কেজি প্রতি দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। বন্যার পানিতে পুরাতন আদা পচে যাওয়ায় এমনটি হয়েছে। বর্ষা শেষ হলে তখন বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
নীলফামারী জেলা শহরের কিচেন মার্কেটের পাইকারী ও খুচরা বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি আলু প্রকার ভেদে ১২ টাকা থেকে বেড়ে ৩২-৩৫ টাকা, পটল কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, শুকনো মরিচ প্রকার ভেদে ১৬০ টাকার স্থলে ২১০ টাকা, ২০ টাকার শসা ৫০ টাকা, কুচ কুমড়ো প্রতি পিস ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০ টাকা থেকে বেড়ে ৪৫ টাকা, বেগুন ২০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০ টাকা, লেবু প্রতি হালি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, কাঁচকলা প্রতি হালি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫ টাকা, পুঁইশাক আঁটি ৩০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, লালশাক ২৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
সবজি বাজারে নিউ বাবুপাড়ার বাসিন্দা (ট্রাক চালক) ড্রাইভার খতিবর রহমান জানান, সাত দিনের বৃষ্টিতে কাঁচাবাজারে আগুন লেগেছে। লকডাউন, বন্যা ও বৃষ্টিপাতের সুযোগ নিয়ে খুচরা বিক্রেতার যা খুশি তাই করছে। নিয়মিত বাজার মনিটারিং হলে এমন হতো না।
জেলা প্রশাসনের মার্কেটিং কর্মকর্তা এটিএম এরশাদ আলম খান জানান, দোকানে মূল্য তালিকা টাঙানোর জন্য বলা হয়েছে। দেশী আদা, রসুন, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের আমদানি কমায় দাম একটু বেড়েছে। এমনিতে প্রতি বছর এই সময় (বর্ষায়) ওইসব পণ্যের বাজার একটু বাড়তি থাকে। অসাধু ব্যবসায়ীদের ধরতে আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত রয়েছে।