জেলার সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের কুমারগাড়ী গ্রামের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া চিকলি নদীর তীরবর্তী প্রায় ৫০০-৭০০ পরিবারের বাড়িঘরে পানি উঠার উপক্রম হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে ওই এলাকার মানুষজন।
কুমারগাড়ী গ্রামের বাসিন্দা জয়নাল আবেদীন (৬৮) জানান, আমার বাড়ি নদী তীরবর্তী হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে আতঙ্কে আছি। বিষয়টি নিশ্চিত করেন, ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক চৌধুরী।
এদিকে, জেলা শহরের নিউবাবুপাড়া, সওদাগর পাড়া, বারাইপাড়া, মিলন পল্লী, বাবুপাড়া, সবুজ পাড়া, শাহীপাড়া’সহ সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।
সদরের রামনগর ইউনিয়নের চাঁদের হাট কলেজ পাড়া গ্রামের বাসিন্দা পরিতোশ রায় (৩২) মুঠোফোনে জানান, এলাকার শতাধিক বাড়ির উঠানে পানি জমেছে। পানবন্দি হয়েছে অনেকে মানুষ। চুলা জ্বালিয়ে রান্না করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাটি নিম্নাঞ্চল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টি হলেই তলিয়ে যায়।
বাবুপাড়ার গৃহিনী গোলাপী বেগম জানান, সাত দিনের টানা বৃষ্টিতে বাসার পাশের ড্রেনগুলো উপচে রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরের আঙিনা পানিতে ডুবে গেছে। ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এমন হয়েছে বলে, এলাকাবাসীর অভিযোগ। শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাটে থমকে গেছে যান চলাচল। পথচারীরা হাঁটু পানি পেরিয়ে চলাচল করছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া কার্যালয়ের আবহাওয়া সহকারী লোকমান হাকিম জানান, জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এই পরিস্থিতি আরও দুই-তিন দিন থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, তিস্তা ব্যারাজের গেজ পাঠক নুরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারীর ডিমলা ডালিয়া পয়েন্টে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ৯৬ মিলিমিটার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়, তিস্তা নদী’সহ জেলার চারালকাটা, যমুনেশ্বরী, চিকলি, কুমলাই, দেওনাই নদীর পানি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে বিপৎসীমার (৫২.৬০) ৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলেও ওই পয়েন্টে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহ অব্যাহত ছিল।