সৈয়দপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফায়ারম্যান গ্রেফতার






অভিযুক্ত ফায়ারম্যান আবু সাঈদ ওরফে সবুজ নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ফায়ার সার্ভিসের (ফায়ারম্যান) আবু সাঈদ ওরফে সবুজকে (৩২) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সে উপজেলার পূর্ব বোতলাগাড়ি গ্রামের ওয়াপদা নতুন হাটের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শনিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল পেয়ে সবুজকে গ্রেফতার ও ভিকটিম স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ব্যাপারে রাতেই মেয়েটির বাবা তবার আলী বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত আবু সাঈদ ওরফে সবুজ রংপুরের তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত। মামলার সূত্রমতে, উপজেলার ওই ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের তবার আলীর কন্যা গোলাহাট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী প্রাইভেটে যাওয়া আসার পথে সবুজ তাকে উত্ত্যক্ত করতো।

পুলিশের হতে আটক অভিযুক্ত সবুজ গত ১৬ অক্টোবর সবুজ ছুটিতে বাড়ি আসায় ওই ছাত্রী ঢেলাপীর গ্রামের পুলপাড়াস্থ বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বড় বোন ইপিজেডে শ্রমিকের কাজে ও অটোচালক দুলাভাই বাইরে থাকার সুযোগে সবুজ বিকালে কৌশলে ওই বাড়িতে যায়। এ সময় মেয়েটিকে একা পেয়ে বিয়ের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ভিকটিমের বড় বোন বাসায় ফিরে আসামিকে ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে চিৎকার করলে পাড়ার লোকজন তাকে আটক করে। পরে জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে সবুজকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
সবুজের স্ত্রী শিউলি বেগম সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, পূর্ব পরিচিত হওয়ার সুবাদে বিপদ-আপদে আমরা তাদের সাহায্য সহযোগিতা করতাম। আমার স্বামীকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমি এর সঠিক তদন্ত বিচার চাই।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে আজ (১৮ অক্টোবর) আদালতে মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। অপরদিকে, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।