মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। ২২ দিন বয়সী মোহসিনা আক্তার রুহানা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের জামাল গ্রামের আবদুর রহিম মিয়ার মেয়ে।
শিশুর স্বজনরা অভিযোগ করেন, দুপুরে শিশু মোহসিনাকে নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যান তার দাদি। এ সময় স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করেই শিশুটিকে যক্ষ্মা প্রতিরোধক একটি টিকা দেন স্বাস্থ্য সহকারী লুচি বেগম। এছাড়া শিশুটিকে মেয়াদ উত্তীর্ণ একাধিক বিসিজি টিকা দেন তিনি। এর আগে, লুচি বেগম শিশুটিকে মুখে ভিটামিন ক্যাপসুলের মতো কিছু খাওয়ান। টিকাদান শেষে বাড়িতে আনার পরপরই শিশুটির মুখ দিয়ে রক্ত পড়ে। পরে শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার আগেই তার মৃত্যু হয়।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করছেন অভিযুক্ত স্বাস্থ্য সহকারী লুচি বেগম। তিনি বলেন, শিশুটিকে শুধু যক্ষ্মা প্রতিরোধক বিসিজি টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাদানের আগে শিশুটির শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। অন্য শিশুদের মতো সঠিকভাবেই তাকে টিকা দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আশরাফুজ্জামান সরকার জানান, বিসিজি টিকাটি শুধু যক্ষ্মা প্রতিরোধক। টিকা দেওয়ার ফলে এখন পর্যন্ত কোনও শিশুর মৃত্যু হয়নি। শিশুটিকে দেওয়া টিকার মেয়াদ ছিল ২০২১ সাল পর্যন্ত। টিকার কারণে তার মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। তবে অন্য কোনও রোগে মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে পারে। তবে পুরো বিষয়টি আরও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। টিকাদানে কোনও অবহেলা থাকলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহিল জামান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে শিশুর স্বজন ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।