কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানি জমি থেকে নামতে দেরি হওয়ায় আলু রোপণ কিছুটা বিলম্বিত হচ্ছে। তবে চলতি মৌসুমে ব্যাপক প্রস্ততি দেখা যাচ্ছে চাষিদের মাঝে। এদিকে, উঁচু শ্রেণির জমিতে আগাম জাতের আলু উত্তোলন শুরু হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, জেলায় এবার আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২২ হাজার হেক্টর জমিতে। কৃষি বিভাগ এই জমি থেকে আলু উৎপাদনের আশা করছেন পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। আর এ পর্যন্ত আগামজাতের আলু উত্তোলন করা হয়েছে দেড় হেক্টর জমি থেকে। আলু চাষে এখন পর্যন্ত অর্জনকৃত জমির পরিমাণ ১৩ হাজার ৯৯০ হেক্টর।
একই এলাকার কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ‘এবার দুই বিঘা জমিতে আলু রোপণের প্রস্ততি সম্পন্ন করেছি। আশা করি, আবহাওয়া ভালো থাকলে দুই-একদিনের মধ্যে জমিতে আলু রোপণ করতে পারবো। এলাকায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাই জমি প্রস্তত হওয়ার পরও আলু রোপণে দেরি হচ্ছে। এবার অতিরিক্ত খরচ হওয়ার আশঙ্কা করছি। তবে বাজারে দাম ও ফলন ভালো হলে খরচের টাকা পুশিয়ে নেওয়া যাবে।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মণ্ডল জানান, এখানকার মাটি আলু চাষে খাঁটি। পলি ও বেলে দোঁয়াশ মাটিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়। এবার আবহাওয়া অনকূলে থাকায় আগাম জাতের আলুসহ ২২ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। এ যাবৎ দেড় হেক্টর জমি থেকে আগাম জাতের আলু উত্তোলন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।