বর্ডার পয়েন্টগুলোর সমস্যা খুঁজতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে বাংলাদেশের হাইকমিশনার

বাংলাবন্ধায় বাংলাদেশি হাইকমশিনার

ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান বলেছেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা উভয় দেশের এই সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চাই। এছাড়া দু’দেশের যেসব সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলমান রয়েছে সেখানে কী কী সমস্যা সম্ভাবনা রয়েছে তা সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি। এসব সমস্যা সম্ভাবনার কথা জানা থাকলে যেকোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সুবিধা হয়।’ 

সোমবার (৩০ নভেম্বর) বিকালে ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তে স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশনের ব্যবসা বাণিজ্যসহ মানুষ পারাপারে সমস্যা চিহ্নিত করতে সরেজমিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।  

মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশি হাইকমশিনার

তিনি বলেন, স্থলবন্দরগুলোতে সব সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে এক ছাদের মধ্যে নিয়ে আসতে হবে। যেন সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির শিকার হতে না হয়। পণ্য ও মানুষ যাতায়াতের পথ আলাদা করতে হবে। ভারতীয় অংশে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চাঁদাবাজি ও হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে বাংলাবান্ধাসহ আরও একটি স্থলবন্দর থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এসব বিষয় নিয়ে আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনা করবো। সেই সঙ্গে পঞ্চগড়ের চার উপজেলার যেসব সিএস ম্যাপ এখনও ভারতে রয়ে গেছে সেগুলো ফেরত আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

পরে জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন মুজিববর্ষ উপলক্ষে দুই বাংলার লেখকদের নিয়ে যৌথ কবিতা সংকলনের বই হাইকমিশনারের হাতে তুলে দেন। এর আগে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ ইমরান তেঁতুলিয়া পৌঁছালে পুলিশের একটি সুসজ্জিত দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন।