শিবগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যা: ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামগাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে মাছ ব্যবসায়ী শিমুল মিয়াকে (২৫) হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলামকে প্রধান করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় এই মামলা করা হয়। মঙ্গলবার (২২ ডিসেস্বর) রাত ৯টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

ওসি মেহেদী হাসান জানান, নিহতের বড় ভাই রায়হান আলী বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম, তার সহযোগী রবিউল ও মেনহাজসহ আসামিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে শিমুলের বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জেরে শিমুলকে অপহরণ করে পিটিয়ে বস্তাবন্দি করে ধানক্ষেতে ফেলে রাখে আসামিরা। পরে সে মারা যায়।

ওসি আরও জানান, শিমুল মিয়া বগুড়ার শিবগঞ্জের বিহার ইউনিয়নের মুন্নাপাড়া গ্রামের আব্দুল মুতাল্লির ছেলে। সে নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত। তার বিরুদ্ধে শিবগঞ্জসহ বিভিন্ন থানায় চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, অগ্নিসংযোগ ও নারী-শিশু নির্যানের অন্তত ১১টি মামলা রয়েছে। অপরাধ জগতের নেতৃত্ব ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে পুলিশ মনে করছে। এ জন্য গুরুত্ব দিয়ে পুলিশের পাশাপাশি পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগশন (পিবিআই) মামলাটি তদন্ত করছে। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা চলছে বলেও জানান ওসি।

উল্লেখ, সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর গোবিন্দগঞ্জের ঘুমানিগঞ্জ (নেংড়াবাজার) এলাকার রাস্তার পাশের একটি ধানক্ষেত থেকে বস্তাভর্তি অবস্থায় শিমুলকে উদ্ধার করেন পথচারী ও স্থানীয়রা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ রাত ৮টার দিকে ফুলপুকুরিয়া বাজার থেকে তার লাশ উদ্ধার করে। শিমুলের পা ভাঙাসহ শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরদিন সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।