সাড়ে ৩ মাস পর পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত

2অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এখন ৩ মাস ১৫ দিন পর আবারও বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারত সরকার। কোনও মূল্য নির্ধারণ ছাড়াই আগামী ১ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ রফতানির ঘোষণা দিয়েছে তারা।
সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য বিভাগের মহাপরিচালক অমিত ইয়াদব স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। রাতেই এ প্রজ্ঞাপনের কপি দিয়ে পেঁয়াজ রফতানির বিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জানিয়েছেন।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রফতানি বন্ধ ঘোষণার ৩ মাস ১৫ দিন পর আবার ভারত সরকার পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে বলে সোমবার রাতে একটি পত্রের কপি দিয়ে ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি। ১ জানুয়ারি থেকে এই পেঁয়াজ রফতানি করা হবে বলে তারা জানিয়েছেন। এখন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলার প্রস্তুতি নিয়েছি। আগামীকাল আইপি খোলাসহ এ সংক্রান্ত সব প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করে ব্যাংকগুলো থেকে এলসি খুলবো। যেহেতু পেঁয়াজ রফতানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম কোনও মূল্য নির্ধারণ করা হয়নি, তাই আমদানিকারকরা কেনা দামেই আমদানি করতে পারবে। তবে প্রতি টন পেঁয়াজ ২শ’ থেকে আড়াইশ মার্কিন ডলারে এলসি খোলা হবে বলেও তিনি জানান।

এদিকে ভারতের পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের কারণে বাংলাদেশের বাজারে যে অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, এখন অনুমতি দেওয়ায় দাম আগের অবস্থায় চলে আসবে।

1

প্রসঙ্গত, অভ্যন্তরীণ বাজারে সংকট ও মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এতে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় ভারতে আটকা পড়ে ২৫০ পেঁয়াজবাহী ট্রাক। আরও আটকা পড়ে ১০ হাজার টনের মতো এলসি করা পেঁয়াজ। এর পাঁচ দিন পর ১৯ সেপ্টেম্বর অনুমতি সাপেক্ষে টেন্ডারকৃত ১১টি ট্রাকে ২৪৬ টন পেঁয়াজ রফতানি করে তারা, যার অধিকাংশ পচে নষ্ট হওয়ায় ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েন আমদানিকারকরা। যদিও এরপর থেকেই এলসির পেঁয়াজ রফতানি করতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের চাপ দিয়ে আসছিলেন এখানকার ব্যবসায়ীরা।