ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করছেন না ব্যবসায়ীরা

দেশীয় ও ভারতীয় পেঁয়াজের দাম একই হওয়ায় বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা কমে গেছে। এ কারণে লোকসানের কথা চিন্তা করে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, পেঁয়াজ আমদানিতে পড়তা না থাকায় ও লোকসানের কারণে গত ১৩ জানুয়ারি থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেন আমদানিকারকরা। তিন দিন বন্ধের পর ১৬ জানুয়ারি শনিবার বন্দর দিয়ে দুটি ট্রাকে ৫০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। ১৭ জানুয়ারি রবিবার বন্দর দিয়ে এটি ট্রাকে ২৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, দেশীয় পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সবসময় ৮-১০ টাকা কম থাকে। এ কারণে দেশের বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে। এ কারণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও সাড়ে ৩ মাস আমদানি বন্ধের পর আবারও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে এবার দেশীয় পেঁয়াজের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজের দাম সমান হয়ে গেছে। এ কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা তেমন নেই। আর তাই অব্যাহতভাবে লোকসানের কারণে আমদানিকারকরা পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

এদিকে গতকাল হিলি স্থলবন্দরের অপর এক আমদানিকারকের এক ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হলেও ক্রেতা না থাকায় তা বিক্রি হয়েছে ২৭ টাকা কেজি দরে। তবে অনেক আমদানিকারক যেহেতু এলসি দিয়ে রেখেছেন সেক্ষেত্রে কোনও কোনও আমদানিকারকের পেঁয়াজ লোডিং হওয়ার কারণে মাঝে মধ্যে এক-দুই ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। তবে বেশীরভাগই না আসার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা।