সাদুল্লাপুরে হোটেল কর্মচারীর লাশ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে মেহেরুল ইসলাম (২৪) নামে এক হোটেল কর্মচারীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। এর আগে সকালে সাদুল্লাপুর উপজেলার হামিন্দপুর গ্রামের ঘাঘট নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের একটি ধুতিয়া গাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

মেহেরুল ইসলাম জামালপুর ইউনিয়নের হামিন্দপুর গ্রামের আজল হকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন হোটেল কর্মচারী ছিলেন।

নিহতের পরিবার জানায়, মেহেরুল সাদুল্লাপুর বাজারের একটি খাবারের দোকানে (হোটেল) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। প্রতিদিনের মতো রবিবার সকালে বাড়ি থেকে হোটেলে কাজ করতে যান তিনি। রবিবার কাজ শেষে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি মেহেরুল। সকালে ঝুলন্ত লাশের খবর পেয়ে মেহেরুলকে শনাক্ত করা হয়। মেহেরুলের সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল। এই বিরোধে কেউ তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখে। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্তসহ দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শান্তির দাবিও জানান পরিবারের সদস্যরা। 

সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ রানা জানান, সকালে হামিন্দপুর গ্রামের ঘাঘট নদীর বাঁধের একটি ধুতিয়া গাছে গলায় শার্ট পেঁচানো অবস্থায় মেহেরুলকে ফাঁসিতে ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। মেহেরুল আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করে কেউ ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা; তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।