রাণীশংকৈলে আ.লীগ ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে বৃধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংঘর্ষের ঘটনায় উভয়পক্ষের পাঁচ জন আহত হয়েছেন।এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) পৃথক দুটি মামলায় রাণীশংকৈল থানার পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে।

জানা যায়, নৌকা প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সমর্থকরা রংপুরিয়া মার্কেট এলাকায় ভোট চাইতে গেলে আ.লীগ থেকে বহিষ্কৃত কম্পিউটার মার্কার মেয়রপ্রার্থী রফিউল ইসলামের সমর্থকরা বাধা দেয়। এ ঘটনায় নৌকা সমর্থক ফুলমিয়াকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেওয়া হয়। পরে দুই পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। ঘটনাস্থলে সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান নাইন কবির স্টিভ, ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল পুলিশ ফোর্স নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

নৌকা সমর্থক আবুল হোসেনের পুত্র ফুলমিয়া (৩৮) গুরুতর আহত অবস্থায় রাণীশংকৈল হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর পক্ষের আ.লীগের বহিষ্কৃত মেয়রপ্রার্থী রফিউল ইসলামের সমর্থক ভান্ডারা গ্রামের জমির উদ্দীনের পুত্র আজাহারুল ইসলাম (৬৫) ও তার পুত্র বেলাল হোসেন (৩৫), নাজিম উদ্দীনের পুত্র মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী মিশিরণ বেগম (৩৫) প্রতিপক্ষের আঘাতে আহত হয়ে রাণীশংকৈল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

রাতে নৌকা মার্কার পক্ষ থেকে মতিউর রহমানসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ মতিউর রহমান মতিকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার জেল হাজতে পাঠায়। একই ঘটনায় আ.লীগের বহিষ্কৃত মেয়রপ্রার্থী রফিউল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় নৌকার সমর্থক ফারাজুল ইসলাম, টিটু, বাহিনী, ফারুক,আনোয়ার ও লিটনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

এ প্রসঙ্গে আ.লীগ সভাপতি অধ্যক্ষ সইদুল হক বলেন, বহিষ্কৃত মেয়রপ্রার্থী নৌকার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেই চলছে, তারপরেও নৌকার বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না। গতকালের ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ রয়েছে বলে জানান তিনি।