গাইবান্ধায় মাদক মামলায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

২৫ গ্রামের বেশি হেরোইন পাওয়া গেলেই মৃত্যদণ্ডের বিধান। তাই সর্বোচ্চ শাস্তিই হয়েছে রবি দাসের (৩৩)। তার কাছে পাওয়া গিয়েছে ৪৩০ গ্রাম হেরোইন। গাইবান্ধায় এই মাদক মামলায় বিচারক তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন । একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশও দেন বিচারক।

বুধবার (৩ মার্চ) দুপুরে গাইবান্ধার জেলা ও দায়রা জজ দিলীপ কুমার ভৌমিকের আদালত আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।  

দণ্ডপ্রাপ্ত রবি দাসের (৩৩) বাড়ি বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চন্ডিহার গ্রামে। রবিদাস ওই গ্রামের মৃত বেচু রাম দাসের ছেলে। পেশায় রবি দাস গাইবান্ধার যাত্রীবাহী নওশাদ পরিবহনের সুপারভাইজার।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. ফারুক আহম্মেদ প্রিন্স। মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ২০১৮ সালের ৪ নভেম্বর গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার রংপুর-বগুড়া মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস নওশাদ পরিবহন থেকে রবি দাসকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে রবি দাসের দেওয়া তথ্যে বাসের পেছনের সিট থেকে ৪৩০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রবি দাসের বিরুদ্ধে ডিবি পুলিশের এসআই সাজু মিয়া বাদী হয়ে পলাশবাড়ি থানায় মামলা দায়ের করেন।

তিনি আরও জানান, হেরোইন পাচারের অপরাধে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। এ মামলায় আদালতে দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। যেহেতু মাদক সংক্রান্ত আলামতের পরিমাণ ২৫ গ্রামের বেশি হলেই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের বিধান আছে এ কারণে আদালতের বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিতের আদেশ দেন। একইসঙ্গে এক লাখ টাকা জরিমানাও করেন। রায় ঘোষণার পরেই দণ্ডিত আসামিকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে, রায় ঘোষণার পরেই আদালত প্রাঙ্গণে কান্নায় ভেঙে পড়েন দণ্ডিত আসামি রবি দাসের স্ত্রীসহ তার স্বজনরা। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন জাতীয় আইন সহায়তা প্রদান সংস্থার নিযুক্ত আইনজীবী মাসুদার রহমান বিশ্বাস। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামির পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিলের কথা জানান তিনি।