লোকসানের শঙ্কায় পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা

চাহিদার তুলনায় বেশি পেঁয়াজ আমদানি হওয়ায় হিলি স্থলবন্দরে ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় দু’দিনেও আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বন্দর থেকে খালাস করে নিজস্ব গুদামে নিয়ে পেঁয়াজ নামাচ্ছেন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম ও রাশেদ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি আইপির মেয়াদ চলতি মাসেই শেষ হওয়ার কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। কিন্তু পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েই বিপাকে পড়েছেন তারা। কারণ লকডাউনে দেশের বিভিন্ন স্থানে হোটেল-রেস্টুরেন্ট বন্ধ রয়েছে। এছাড়া রমজানের শুরুতেই অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনে ফেলেছেন। এসব কারণে দেশের বিভিন্ন মোকামগুলোতে যে পরিমাণ পেঁয়াজের চাহিদা ছিল, সেটি কমে গেছে। এ কারণে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়লেও বিক্রি কমে গেছে।

পেঁয়াজের দাম যেখানে ২৫-২৬ টাকা ছিল, তা কমে ২০-২২ টাকায় নেমে এসেছে। গত সোমবার বন্দর দিয়ে ১৪টি ট্রাকে ৩৯১টন পেঁয়াজ আমদানি হলেও সেদিন মাত্র ৭ ট্রাক পেঁয়াজ বিক্রি হয় অবশিষ্ট ৭ ট্রাক পেঁয়াজ বন্দরের ভেতরে আটকা ছিল। এর ওপর গতকাল মঙ্গলবার বন্দর দিয়ে ৯টি ট্রাকে ২২১টন পেঁয়াজ আমদানি হয়। বন্দরে অবশিষ্ট ১৬ ট্রাকের মধ্যে মাত্র ২ ট্রাক পেঁয়াজ বিক্রি হয় কিন্তু অবশিষ্ট পেঁয়াজ বিক্রি না হওয়ায় ও বাড়তি গরমের কারণে লোকসানের ভয়ে পেঁয়াজ খালাস করে আমদানিকারকরা নিজস্ব গুদামে নিয়ে তুলেছেন।