আমদানি বন্ধের ৫ দিনের ব্যবধানে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

পেঁয়াজ আমদানির আইপি শেষ হওয়ায় ও নতুন করে আইপি না পাওয়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে পণ্যটির সরবরাহ কমেছে। আমদানি বন্ধের পাঁচ দিনের ব্যবধানে হিলিতে আমদানি করা ও দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে চার থেকে পাঁচ টাকা। এদিকে লকডাউন ও রমজানের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন-আয়ের খেটে খাওয়া দিনমজুর মানুষ।

সোমবার (৩ মে) সরেজমিন হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ভারতীয় পেঁয়াজ কয়েকদিন আগে ২২ থেকে ২৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২৭ থেকে ২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে দেশীয় পেঁয়াজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা রমজান হোসেন ও আসলাম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, চার-পাঁচ দিন আগেও ২০ থেকে ২২টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনেছি। কয়েকদিনের ব্যবধানে সেই পেঁয়াজ এখন দাম বেড়ে ২৮টাকা হয়ে গেছে। একেতো করোনার কারণে লকডাউন, অন্যদিকে কাজ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে। এর ওপর রমজান মাস চলছে, এর মাঝেও এভাবে যদি দাম বাড়ে, তাহলে আমরা নিম্ন আয়ের মানুষজন বিপদে পড়বো।

হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা ফিরোজ হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আইপি শেষ হয়ে যাওয়ায় গত ২৯ এপ্রিল থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে করে দেশের বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমায় দাম বাড়তে শুরু করেছে। একইভাবে বাজারে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমায় দেশীয় পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। এতে দেশীয় পেঁয়াজের দামও বাড়তে শুরু করেছে। মোকামেই পেঁয়াজের দাম বেশি, আমরা বাড়তি দামে কিনে সে অনুযায়ী বিক্রি করছি।

তবে অনেক আমদানিকারক নিজস্ব গুদামে পেঁয়াজ মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়াচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।