রোজিনার অপরাধ স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি-অনিয়ম তুলে ধরা: ফখরুল

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে নির্যাতন এবং মামলা দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তরের ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘রোজিনা ইসলামের অপরাধ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করে করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়ম তুলে ধরা। অথচ গণতন্ত্রের মূল কথাই হচ্ছে ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা।’ মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা ১১টায় ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়িতে নিজ বাসভবনে এক জনাকীর্ণ সাংবাদিক বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল এ ঘটনায় রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে তার মুক্তি এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ দাবি করেন।

অতীতের সাংবাদিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এসব করা সরকারের পরিকল্পিত কাজ, যাতে কেউ জাতির সামনে সরকারের অন্যায় ও দুর্নীতি তুলে ধরতে ভয় পায়। সব খানে ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করে এভাবে দেশে একটা ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সাংবাদিক ও মিডিয়ার কণ্ঠ চেপে ধরা হয়েছে। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পোরা হচ্ছে। এভাবে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হচ্ছে, যা প্রতিষ্ঠার জন্য এ দেশের মানুষ প্রাণ দিয়েছেন। দীর্ঘদিন লড়াই করেছেন।’

এ সময় তিনি সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যার কোনও বিচার না হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘রুনি আমার চাচাতো বোন। তার হত্যাকাণ্ডের পর তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বললেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি খুনিদের গ্রেফতার করবেন। অথচ নয় বছর পার হলো, সেই হত্যাকাণ্ডের কোনও কিনারা হলো না।’  

রোজিনা ইসলাম ইস্যুতে সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকসহ সর্বত্র কিছু চাটুকারের মাধ্যমে মানুষের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করেছে এ সরকার। আর চামচারা হুক্ক হুয়া করে যাচ্ছে।’ তিনি সবাইকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, সহ-সভাপতি মামুন উর রশীদ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদসহ নেতাকর্মীরা।