ভারতীয় ব্যবসায়ীদের শর্ত মেনে হিলি দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দু'দেশের পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়েছে। পেঁয়াজসহ বেশ কিছু কাঁচামাল আটকে থাকায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দেওয়া শর্ত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা মেনে নেওয়ায় বুধবার (০৯ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আমদানি-রফতানি শুরু হয়।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক দেশে ঢোকে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হলেও বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিলো।

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, মঙ্গলবার রাতে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের দেওয়া চিঠির ভিত্তিতে আমরা হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক সিআ্যন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জরুরি বৈঠকে বসি। বৈঠকে তাদের দেওয়া চিঠির বিষয়, আমাদের দেওয়া চিঠি ও করোনার প্রাদুর্ভাব নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া গত কয়েকদিন গাড়ি কম ঢোকার কারণে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজসহ অন্যান্য কাঁচা পণ্য ভারতে আটকা পড়ে। এসব কাঁচামাল যদি সময়মতো দেশে ঢুকতে না পারে তাহলে পচে গিয়ে আর্থিক ক্ষতি হবে। বিষয়টি বিবেচনা করে ভারতীয় ব্যবসায়ীদের শর্ত মেনে নিয়েছি আমরা।

তিনি বলেন, আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। চিঠি পাওয়ার পর তারা বৈঠকে বসেন। যার কারণে সকাল থেকে পণ্য আমদানি-রফতানি হয়নি। বৈঠক শেষে তারা পণ্য রফতানি শুরু করেন। দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি শুরু হয়। একইভাবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আমদানি-রফতানি চলবে। আগামী শুক্রবার সীমান্তের শূন্যরেখায় দু'দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে মূল সমস্যার সমাধান হবে।

প্রসঙ্গত, ৮ জুন থেকে টিকা গ্রহণের কার্ড ছাড়া ভারতীয় ট্রাকচালকদের বন্দরে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কথা জানিয়ে ৬ জুন ভারতের ব্যবসায়ীদের চিঠি দেয় বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন। জবাবে পাল্টা চিঠিতে তারা জানান, ভারতে টিকার সংকটের কারণে সব চালককে টিকা দেওয়া সম্ভব নয়। আগের মতো সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি চালুর দাবি জানান। অন্যথায় ৯ জুন থেকে বন্দর দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেন তারা।

মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আবারও চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আমদানি-রফতানি চালু থাকবে। এ সময়ে ৫০ ট্রাক শুকনো পণ্যের সঙ্গে পেঁয়াজ-আদা-রসুন, গমের ভুসি যা থাকবে সব গ্রহণ করা হবে। আগের মতো বন্দর দিয়ে সীমিত পরিসরে আমদানি-রফতানি স্বাভাবিক থাকবে। এরপরই দু'দেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি শুরু হয়।