কুড়িগ্রামে লকডাউন বাস্তবায়নের পাশাপাশি ত্রাণ বিতরণ করবে সেনাবাহিনী

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে কুড়িগ্রামের স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করছে সেনাবাহিনী। ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই লকডাউন কার্যকরে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নিজেদের টহল বজায় রেখেছে বাহিনীটি। পাশাপাশি জেলার দুস্থ ও নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে সেনাবাহিনী।

সড়ক, দোকানপাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাবাহিনী কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে জানান কুড়িগ্রামে টহল ও আভিযানিক দায়িত্বে থাকা বাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. মিজান-উর-রশীদ ভূঁইয়া।

সেনাবাহিনী জানায়, লকডাউন বাস্তবায়নে রংপুর সেনানিবাসের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের ৩০ ব্যাটালিয়ন কুড়িগ্রামে দায়িত্ব পালন করছে। জেলার সদর, উলিপুর, চিলমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, ফুলবাড়ী ও রাজারহাট উপজেলায় টহল কার্যক্রমের পাশাপাশি সাধারণ মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াবহতা ও এর ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে প্রচারণাও চালাচ্ছেন সেনা সদস্যরা।

এদিকে জেলার দুস্থ ও কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণের পরিকল্পনা নিয়েছে সেনাবাহিনী। আগামী ৯, ১৩ ও ১৭ জুলাই যথাক্রমে সদর, রাজারহাট ও ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা ও তিস্তা অববাহিকার তিনশ’ পরিবারের মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে বাহিনীটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন মো. মিজান-উর-রশীদ ভূঁইয়া বলেন, ‘কুড়িগ্রামে যেহেতু নিম্ন আয়ের মানুষের সংখ্যা বেশি এবং প্রতিবছর বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে, সেজন্য আমরা প্রতিবছরের মতো এবারও ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছি। সেনাবাহিনী নিজেদের উদ্যোগে দুস্থ পরিবারগুলো বাছাই করে এসব ত্রাণ বিতরণ করবে।’

তিনি জানান, ৩০ বীর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ হেদায়েতুল ইসলামের তত্ত্বাবধায়নে সেনাবাহিনী এসব মানবিক ও জনস্বার্থমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।