সকালে বাড়লেও দুপুর থেকে কমছে তিস্তার পানি

ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডিমলার ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি সোমবার (১২ জুলাই) সকালে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও এখন তা কমেছে। বিকাল ৩টার পর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ১২  সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপৎসীমা হলো ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) নুরুল ইসলাম বলেন, উজানে পানি বাড়লে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টেও বাড়ে। আবার ভারতের গজলডোবায় পানি কমলে এখানেও কমে। সোমবার (১২ জুলাই) সকাল ৬টায় নীলফামারীর ডালিয়া তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার; যা বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপরে। সকাল ৯টায় ওই পানি কমে বিপৎসীমার সমানে (৫২.৬০) পৌঁছে। বেলা ১২টায় তা আরও কমে সাত এবং বিকাল ৩টার পর ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পাউবো সূত্র জানায়, ওই পানি বাড়া-কমায় ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইজ গেট (জলকপাট) খুলে দেওয়া হয়েছে।

ডিমলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ বলেন, ঝাড়সিংশ্বর এলাকাটি নিচু হওয়ায় সেখানে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।

এদিকে, জেলার জলঢাকা উপজেলার ডাউয়াবাড়ী, গোপালঝাড় ও আলসিয়া পাড়ার প্রায় ২০০ পরিবার বন্যার কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে উপজেলার খগাখড়িবাড়ির বাইশপুকুর গ্রামটি প্লাবিত হয়ে বাড়িতে বন্যার পানি প্রবেশ করছে। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধা, কালিগঞ্জ উপজেলার নদী বেষ্টিত চর গ্রামের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, উজানের পানির ঢল কিছুটা বেড়ে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ ওঠানামা করছে। সকাল ৬টায় ওই পয়েন্টে বিপৎসীমার পাঁচ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হলেও ৯টার পর থেকে ধীরে ধীরে ওই পানি কমতে থাকে। বেলা ৩টার দিকে বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ জন্য আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি এবং ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইজ গেট খুলে রাখা হয়েছে।