পুলিশি পাহারায় ৭ মুসল্লির ঈদের জামাত আদায়

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এ জামাতে চার পরিবারের মাত্র সাতজন মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।

তবে একদিন আগে ঈদের জামাত আদায়ের বিষয়টিতে ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি বিরোধিতা করেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে। পরে পুলিশের পাহারায় ওই সাত মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করেন।

উভয়পক্ষকে শান্ত করেন পুলিশ সদস্যরা

বুধবার (২০ জুলাই) সকালে ওই চার পরিবারের সাত মুসল্লি মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেন। এ সময় ওই মসজিদ এলাকার বাকি ৬৮ পরিবারের সদস্যরা তাদের বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। খবর পেয়ে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়াসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের পাহারায় তারা নামাজ আদায় করেন। সকাল ১০টায় এ নামাজ পড়ান ইমাম মনির হোসেন।

উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম, মসজিদের সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের বলেন, ‘রোজার ঈদেও ওই ৪/৫টি পরিবারের সদস্যরা নারীদের নিয়ে মসজিদে একদিন আগে ঈদের নামাজ আদায় করেছিলেন। এরপর আমরা ৬৮টি পরিবারের মুসল্লিরা বসে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, নারীদের নিয়ে তাদের মসজিদে নামাজ আদায় করতে দেবো না। এবারও তারা নারীদের নিয়ে নামাজ আদায় করতে চেয়েছিলেন। মুসল্লিদের বাধায় শুধু ৬/৭ জন মসজিদে নামাজ আদায় করেছেন।’

panchaghar3

মসজিদের সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ বলেন, ‘কোরআনে নারী-পুরুষ সবার জন্য হুকুম সমান। এ কারণে গত রোজার ঈদে আমরা মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করেছি। এবারও প্রায় ৪০ পরিবারের পুরুষ ও নারীরা নামাজ আদায়ের জন্য জড়ো হয়েছিলেন। কিন্তু মসজিদের একদল মুসল্লি আমাদের নামাজ আদায়ে বাধা দেয়। পরে পুলিশি পাহারায় আমরা কয়েকজন ঈদের নামাজ আদায় করেছি।’

পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, ‘ওই মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে একদিন আগে নামাজ আদায়কে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে, এমন পরিস্থিতি বিবেচনা করে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করি। আমাদের উপস্থিতিতে চার পরিবারের ৬/৭ জন নামাজ আদায় করেন।’