হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আসা শুরু

দেশের বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে দীর্ঘ তিন মাস ২৩ দিন পর দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) দুপুর দেড়টায় ভারত থেকে একটি ট্রাক ২৮ মেট্রিক টন চাল নিয়ে দেশে প্রবেশ করে। আজ আসা চালের আমদানিকারক বগুড়ার মেসার্স ঋত্বিক এন্টারপ্রাইজ। ভারতের মারুতি ইন্টারন্যাশনাল নামের প্রতিষ্ঠান চালগুলো রফতানি করেছে।

চালের আমদানিকারক ললিত কেশেরা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক কমানো ও বরাদ্দ দেওয়ায় আজ থেকে বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। প্রচুর চালবোঝাই ট্রাক দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। এসব চাল দেশে প্রবেশ করলে দাম কমে আসবে। তবে আমদানির সময় কিছুটা বাড়ানো হলে সুবিধা হতো। যে সময়টা সরকার বেঁধে দিয়েছে এই সময়ে চাল ঢোকানো সম্ভব না। একটি ট্রাক ঢুকতে এখন ৪০/৪৫ দিনের মতো সময় লাগছে। কিন্তু কম সময় নির্ধারণ করে দেওয়ায় ভারতীয় রফতানিকারকরা চাল বিক্রি করতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে। সময় বাড়ানো হলে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে চাল ঢুকবে। আজ আসা প্রতি টন চাল ৪৫০ মার্কিন ডলার (৩৮ হাজার ২০০ টাকা) মূল্যে আমদানি করা হয়েছে। তবে কাস্টমস কত ডলার মূল্যে শুল্কায়ন করে সেটি দেখার বিষয়। এর ওপর নির্ভর করবে চাল আমদানিতে পড়তা পড়বে কি-না।’

হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকারের বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে চাল আমদানির লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই এলসি খুলেছি। ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকরা খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রায় ৬০ হাজার টনের মতো চাল আমদানির অনুমতি পেয়েছে। আশা করছি, আগামী দুই-একদিনের মধ্যেই সেই সংখ্যা আরও বাড়বে। দেশের বাজারে চাহিদা থাকায় ও এলসি হওয়ায় সবাই চাল কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে, ফলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। আশা করছি, ভারতে চালের দাম কমে আসবে। এতে করে দেশে ব্যাপকহারে চাল আমদানি শুরু হবে ও বাজারে দাম কমে আসবে।’

হিলি স্থলবন্দরে কর্মরত শ্রমিক সাইদুল ইসলাম ও মিরাজুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কয়েকমাস বন্ধের পর পুনরায় বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে আমাদের কাজ কর্ম যেমন বাড়বে তেমনি আয়ও বাড়বে। আগে যেখানে দিনে ২০০ টাকা পেতাম এখন সেখানে ৫০০ করে পাবো, ফলে পরিবার নিয়ে ভালোভাবে ডালভাত খেয়ে চলতে পারবো।’

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দীর্ঘ তিন মাস ২৩ দিন পর চাল আমদানি শুরু হয়েছে। বন্দর দিয়ে পুনরায় চাল আমদানির ফলে সরকারের রাজস্ব ও বন্দরের দৈনন্দিন আয় বাড়বে। এসব চাল বাজারজাত হলে চালের দাম কমে আসবে। ভোক্তারা কম দামে চাল কিনতে পারবে।’