মুখে মাস্ক থাকলে সেবা মিলবে হাসপাতালে 

করোনা প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে রোগীদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করছে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার (৮ আগস্ট) সকালে হাসপাতালের শিশু ও গাইনি ওয়ার্ডে মাস্ক বিতরণ করা হয়। এসময় ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ স্লোগানে হাসপাতালের অন্যান্য ওয়ার্ডেও মাস্ক বিতরণ করেন নার্সরা (সেবিকা)। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেন সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর।

মুখে মাস্ক নেই কেন, জানতে চাইলে শিশু ওয়ার্ডের দুই নম্বর বিছানার রোগী তহমিনা বেগম বলেন, ভর্তি হওয়ার দিন মাস্ক আনছিলাম। এরপর মাস্কটি মাটিতে পড়ে যায়, তাই আর নেওয়া হয় নাই। করোনা ছোট-বড় কিছুই মানে না। তাই স্যারেরা মাস্ক দিয়ে ভালো করেছেন।

ওই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে গাইনি ও শিশু ওয়ার্ডের রোগীদের মধ্যে মাস্ক পরিয়ে দেন সাংবাদিক তৈয়ব আলী সরকার, সিনিয়র স্টাফ নার্স সাবিত্রী রানী ও মর্তুজা বেগম প্রমুখ।

নীলফামারীর সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর কবীর মোবাইলফোনে জানান, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এই স্লোগানে হাসপাতালের সব ওয়ার্ডে নিয়মিত ফলোআপ করা হয়। এমনকি মাস্ক ছাড়া হাসপাতালে প্রবেশও নিষেধ। 

তিনি আরও বলেন, মাস্ক পরবেন, সেবা নিবেন, মাস্ক নেইতো, সেবা নেই।