স্ত্রী-সন্তান রেখে শালিকে নিয়ে পালানোয় শিক্ষক বরখাস্ত

স্ত্রী-সন্তানকে রেখে শ্যালিকাকে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এক শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি ঘটেছে, পঞ্চগড় জেলার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের দেউনিয়াপাড়া গ্রামে।

জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর শিংরোড রতনীবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হায়দার আলী তার নিজের শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপরাধে রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, শিক্ষক হায়দার আলীর বাড়ি জেলার সদর উপজেলার চাকলাহাট ইউনিয়নের দেউনিয়াপাড়া গ্রামে। আট বছর আগে একই ইউনিয়নের অমরখানা গ্রামে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে সাত বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। স্কুলে যাওয়া আসার পথে শ্যালিকার সঙ্গে তার অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ফাঁকি দিয়ে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান এ শিক্ষক। ঘটনা জানাজানি হলে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় গত ২ সেপ্টেম্বর স্ত্রীর পিতা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা করে তাকে বহিষ্কার করে। বর্তমানে ওই শিক্ষক শ্যালিকাকে নিয়ে জেলার সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নে বসবাস করছেন বলে জানা গেছে।

শিংরোড রতনীবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, স্কুলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার অপরাধে গত ১২ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটির জরুরি সভায় স্কুলের মৌলভি শিক্ষক হায়দার আলীকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর ম্যানেজিং কমিটি হায়দার আলীকে অভিযোগের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। ১০ সেপ্টেম্বর ওই শিক্ষক নোটিশের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় তাকে বহিষ্কার করা হয়। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বহিষ্কারের চিঠি পঞ্চগড় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে।

অভিযুক্ত শিক্ষক হায়দার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে খবর প্রকাশে মানা করেছেন। আর কোনও কথা না বলেই কল কেটে দেন।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ময়েনউদ্দিন জানান, হায়দার আলীর অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই শিক্ষকের কাছ থেকে যথার্থ ব্যাখ্যা না পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

পঞ্চগড় সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম প্রামাণিক বলেন, শিংরোড রতনীবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হায়দার আলীকে বহিষ্কারের চিঠি পেয়েছি। ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। বর্তমানে তাকে অর্ধেক বেতনে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।