স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

নীলফামারীতে স্ত্রী সুমি আক্তারকে (২০) হত্যার দায়ে আলমগীর হোসেন (২৪) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নীলফামারীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. মাহাবুবুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন।

এ ছাড়া তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। আলমগীর হোসেন জেলার ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের দক্ষিণ সোনাখুলি গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ইজিবাইক চালক আলমগীর হোসেন  নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন। এক লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন তিনি। এ সময় নগদ এক লাখ টাকা পরিশোধ করেন সুমির বাবা। বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য সুমির ওপর নির্যাতন চালাতে থাকেন আলমগীর।

২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর রাতে মারধর করে। নির্যাতনে ঘটনাস্থলেই সুমির মুত্যু হয়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের বাবা খতিবর রহমান বাদী হয়ে আলমগীরসহ সাতজনকে আসামি করে ডিমলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। অন্য আসামিরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম (৩৫), আনোয়ারা বেগম (৫০), শিল্পী বেগম (৩০), ওবাইদুর রহমান (৩২), জিয়াউর রহমান (২৮) ও রোকসানা বেগম (৩৫)।

ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত শেষে আলমগীরকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এর প্রেক্ষিতে দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আলমগীরকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। অন্য আসামিরা নির্দোশ প্রমাণ হলে আদালত বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক  প্রসিকিউটর (পিপি) রমেন্দ্র নাথ বর্ধন বাপী এবং বিবাদী পক্ষে মামলা লড়েন ওই আদালতের আইনজীবী আল বরকত হোসাইন।