প্রতিমায় রঙ-তুলির আঁচড় দিতে ব্যস্ত কারিগররা

আর মাত্র চার দিন পরেই হিন্দু ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দিনাজপুরের হিলির মন্দিরগুলোতে তাই ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। শেষ মুহূর্তে প্রতিমায় র‌ঙ ও সাজসজ্জার কাজ চলছে।

দিনাজপুরের সীমান্তবর্তী এলাকা হিলিতে গত বছর করোনার কারণে ২০টি মন্দিরে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এবার করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় ২১টি মন্দিরে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিমা শিল্পী কনক রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমাদের প্রতিমার মাটির কাজ শেষে এখন চলছে রঙ ও সাজসজ্জার কাজ। আর দু-একদিনের মধ্যে প্রতিমায় রঙের কাজ শেষ হয়ে যাবে। এখন খুব ব্যস্ততার মধ্যে আমাদের সময় কাটছে। বসা-খাওয়ার সময় নেই। যেহেতু সময় শেষের দিকে, তাই এখানে দ্রুত কাজ শেষ করে কমিটির কাছে প্রতিমা বুঝিয়ে দিয়ে অন্য জায়গায় যাবো।

বসা-খাওয়ার সময় নেই প্রতিমা শিল্পীদের

আরেক কারিগর শামল রায় বলেন, আমরা বংশ পরম্পরায় প্রতিমা তৈরি করে আসছি। বছরে ৩-৪ মাস এই কাজ করে যে আয় হয় তা দিয়েই আমাদের সংসার চালাতে হয়। তবে যেভাবে প্রতিমা তৈরির উপকরণের দাম বাড়ছে, সে তুলনায় আয় নেই।

প্রতিমা দেখতে আসা অনুপ বসাক বলেন, গত বছর করোনার কারণে আমাদের দুর্গাপূজায় তেমন মজা হয়নি। তবে এবার প্রতিমার আকার যেমন বেড়েছে তেমনি আমরাও বেশি আনন্দ করতে পারবো। সেই সঙ্গে এবার আমাদের মায়ের কাছে প্রার্থনা থাকবে, যেন করোনা নামক মহমারি পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেয়। সবাই যেন ভালোভাবে বসবাস করে ধর্মীয় আচার পালন করতে পারি।

শেষ মুহূর্তে প্রতিমা র‌ঙ ও সাজসজ্জার কাজ চলছে

গোহাড়া সার্বজনীন দুর্গামন্দির কমিটির সভাপতি জনার্দ্দন চন্দ্র রায় বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, গত বছর করোনার  কারণে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক ছোট আকারে প্রতিমা তৈরি করে স্বল্প পরিসরে পূজা উদযাপন করেছিলাম। কিন্তু এবারে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা ভালো হওয়ায় তেমন বিধিনিষেধ না থাকায় বড় আকারে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপন করবো। তবে মন্দিরে প্রবেশের ক্ষেত্রে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরত্ব বজায় রেখে দর্শনার্থীদের মন্দিরে প্রবেশের যে দিকনির্দেশনা রয়েছে, সে মোতাবেক পুজা উদযাপন করা হবে।

হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, আগামী ১১ অক্টোবর থেকে শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু। হাকিমপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক নজরদারি করছি। আমাদের সাদা পোশাকের পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছে, টহল দিচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিট ভাগ করে পুলিশের কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।