আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিকের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সংঘর্ষে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নাজুসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। সোমবার (১১ অক্টোবর) রাতে কুড়িগ্রাম সার্কিট হাউজ চত্বরে সাখাওয়াত হোসেন শফিককে বরণ করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়ান বলে অভিযোগ রয়েছে। এদিকে দুই নেতাও সংঘর্ষের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের নেতৃবৃন্দ। পুলিশ বলছে, উভয়পক্ষের ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় কেউ দায় নিতে চায়নি। তারা পরস্পরবিরোধী অভিযোগ দিচ্ছেন। মূলত কেন্দ্রীয় নেতাকে বরণ করতে গিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, সোমবার রাতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাখাওয়াত হোসেন শফিক জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় অংশ নিতে কুড়িগ্রাম আসেন। মঙ্গলবার সার্কিট হাউজে এই সভা অনুষ্ঠিত হওয়া কথা।
সাখাওয়াত হোসেন শফিককে বরণ করে নিতে ঠেলা-ধাক্কার এক পর্যায়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু আহমেদের পরনের পাঞ্জাবির কলার ধরে টেনে ছিঁড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়েছে বলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত একাধিক নেতাকর্মী নিশ্চিত করেছেন। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। তাদের অনেককেই হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার জন্য জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার অনুসারীদের দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু। তিনি বলেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিককে বরণ করতে সার্কিট হাউজে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ অপেক্ষা করছিলেন। তিনি সার্কিট হাউজে পৌঁছালে তার সামনেই জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের কর্মীরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের ওপর হামলা চালায়। তারা উপস্থিত নারী নেত্রীদের ওপরও হামলা চালান। এতে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক নাজু, যুব মহিলা লীগ নেত্রী আফসানা মিমিসহ কয়েকজন আহত হন। এ সময় ছাত্রলীগ কর্মীরা সার্কিট হাউজে ভাঙচুরও চালায়।
রাজু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু ভাই নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন এবং এ ঘটনায় তার ভূমিকা ছিল। ওখানে যারা ছিল তারা সবাই মঞ্জু ভাইয়ের রাজনীতি করে। আমার ওপর হামলাকারীরা হাতকাটা মামলা, মাদক মামলার আসামি।’
সদর থানার ওসি খান মো. শাহরিয়ার বলেন, নিজ দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। উভয়পক্ষ একে অপরকে দায়ী করছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানান তিনি।